আমন্ড আর চিনাবাদাম। দু'টিই সুস্বাদু। তবে আমন্ডের দাম যে অনেকটাই বেশি, তা বলাই বাহুল্য। তবে কি, দামের মতোই, আমন্ডের উপকারও বেশি? বেশি টাকা দিয়ে আমন্ড কিনবেন, নাকি সস্তার চিনাবাদামেই উপকার? পুষ্টিবিদদের মতে, দু’টিতেই রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। তবে কোনটি বেশি উপকারী? চলুন দেখে নেওয়া যাক দু’টোয় ঠিক কী কী নিউট্রিয়েন্ট থাকে।
আমন্ডের উপকারিতা
আমন্ড বা বাদামকে বলা হয় সুপারফুড।
ভিটামিন ই: আমন্ডে প্রচুর ভিটামিন ই থাকে। এটি ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
প্রোটিন ও ফাইবার: প্রতিদিন কয়েকটি আমন্ড খেলে শরীরে প্রোটিন ও ফাইবার ঢোকে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ওমেগা-৩ ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট: হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে দারুন কার্যকর।
ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম: হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত আমন্ড খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়।
চিনাবাদামের উপকারিতা
চিনাবাদামও কম যায় না। বিশেষ করে দামের দিক থেকে তুলনামূলক সস্তাও বলা যায়।
প্রোটিনের ভাণ্ডার: প্রতিদিন মাত্র এক মুঠো চিনাবাদাম শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে পারে।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, হার্টের পক্ষে ভাল।
ভিটামিন বি৩ ও ফোলেট: মস্তিষ্কের জন্য জরুরি।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও রেসভারেট্রল: বার্ধক্য রোধ ও ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত চিনাবাদাম খেলে ব্লাড প্রেসার থাকে নিয়ন্ত্রণে।
কোনটি বেশি উপকারী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমন্ড ও চিনাবাদাম—দুটিরই আলাদা আলাদা গুণ রয়েছে।
যাঁরা ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে চান, তাঁদের জন্য আমন্ড দারুন।
যাঁদের বাজেট কম, তাঁরা নিশ্চিন্তে চিনাবাদাম খেতে পারেন। চিনাবাদামেও রয়েছে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ওজন বাড়ার ভয়?
উভয় বাদামেই ফ্যাট থাকে। তবে সেটা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। তাই সীমিত পরিমাণে খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম। তবে অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে।
কীভাবে খাবেন?
সকালে খালি পেটে ৫-৬টি ভেজানো আমন্ড খাওয়া ভাল।
বিকেলের নাস্তায় এক মুঠো চিনাবাদাম খেতে পারেন।
বাদামের সঙ্গে জল খান, যাতে হজমে সমস্যা না হয়।
মনে রাখবেন
দামী আমন্ড আর সস্তার চিনাবাদাম—দুটিই স্বাস্থ্যকর। তবে পকেটের কথা ভেবে বেছে নিলেও, পুষ্টিগুণের দিক থেকে দুই বাদামই আপনার শরীরের জন্য উপকারী।