Bathing Mistakes: স্নানের সময় এই ৯ ভুলে হতে পারে সমস্যা, শীঘ্রই ত্যাগ করুন

Bathing Mistakes: প্রতিদিন স্নান করলে শরীর অনেক রোগ থেকে মুক্তি পায়। তবে অনেকেই স্নান করতে গিয়ে এমন ভুল করে থাকেন, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

Advertisement
স্নানের সময় এই ৯ ভুলে হতে পারে সমস্যা, শীঘ্রই ত্যাগ করুনপ্রতীকী ছবি

প্রত্যেকের জন্য স্নান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। স্নান করলে পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি শরীর ভাল থাকে। প্রতিদিন স্নান করলে শরীর অনেক রোগ থেকে মুক্তি পায়। তবে অনেকেই স্নান করতে গিয়ে এমন ভুল করে থাকেন, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। জানুন সবিস্তারে... 

ভুল সাবান ব্যবহার 

কিছু ব্যাকটেরিয়া শরীরের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান শরীর থেকে সব ধরনের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে, যার কারণে শরীর থেকে ভাল ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যেতে শুরু করে। এছাড়া কিছু সাবান ত্বককে শুষ্ক করে, যার কারণে শরীরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে। স্নানের জন্য এমন সাবান বেছে নিন যা, হালকা এবং তেল বৈশিষ্ট্য। আপনার যদি ত্বকের কোনও সমস্যা থাকে বা আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয়, তাহলে সুগন্ধিযুক্ত সাবান ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। নয়তো ত্বক আরও খারাপ হতে পারে।

তোয়ালে না ধোয়া 

ভেজা তোয়ালে অনেক ধরনের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়। নোংরা তোয়ালে ছত্রাক, চুলকানি এবং আরও অনেক ধরণের সংক্রমণের অভিযোগ করে। এসব এড়াতে স্নানের পর তোয়ালে ভালভাবে শুকিয়ে,  সপ্তাহে অন্তত একবার ধুয়ে ফেলুন। আপনি অসুস্থ হলে, তোয়ালে আরও ঘন ঘন ধুয়ে নিন এবং সঠিকভাবে শুকানোর পরেই ব্যবহার করুন।

লুফা পরিষ্কার না করা

স্ক্রাবিংয়ের জন্য লুফা  ব্যবহার করেন অনেকে, তবে এর গঠন এমন যে জীবাণু সহজেই এতে প্রবেশ করে। সপ্তাহে অন্তত একবার আপনার লুফা পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। এর জন্য ব্লীচের একটি দ্রবণ তৈরি করুন এবং এতে লুফা ৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এর পর ঘষে পরিষ্কার করে নিন। ব্যবহারের পরে, লুফাটি এমন জায়গায় ঝুলিয়ে দিন যেখানে এটি দ্রুত শুকিয়ে যায়। প্রতি ৩ সপ্তাহে আপনার লুফা পরিবর্তন করতে থাকুন।

বাথরুমের ফ্যান বন্ধ রাখা 

গোসলের সময় বাথরুম আর্দ্রতায় ভরে যায় যা, ধীরে ধীরে বাথরুমের দেওয়ালের ক্ষতি করতে শুরু করে। এ কারণে বাথরুমেও ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে। স্নান করার সময় বা স্নান সেরে বের হওয়ার পর বাথরুমের ফ্যান কিছুক্ষণ চালিয়ে রাখলে ভাল হয়। এতে বাথরুমের আর্দ্রতা কমে যাবে।

Advertisement

গরম জল দিয়ে স্নান 

অনেকে গরম জলে স্নান করতে পছন্দ করে, বিশেষ করে শীতের মরসুমে। তবে গরম জল দিয়ে স্নানের কিছু অপকারিতা রয়েছে। গরম জল ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল দূর করে, যা ত্বককে শুষ্ক করে, ফলে চুলকায়। অতিরিক্ত গরম জল দিয়ে স্নান করা থেকে বিরত থাকুন এবং ৫-১০ মিনিটের বেশি গরম জল দিয়ে স্নান করবেন না। ত্বকে সংক্রমণের মতো সমস্যা থাকলে, একেবারেই গরম জল দিয়ে স্নান করবেন না।

ঘন ঘন চুল ধোয়া 

আপনার স্ক্যাল্প যদি তৈলাক্ত না হয়, তাহলে প্রতিদিন চুল ধোয়ার দরকার নেই। অনেক সময় ঘন ঘন চুল ধুলে শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই শ্যাম্পু করা এড়িয়ে চলুন। আপনি যদি ব্যায়াম করেন এবং প্রচুর ঘামেন, তবে ঘন ঘন চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন।

ময়েশ্চারাইজার লাগানোর ভুল সময় 

স্নানের অনেক পড়ে বডি লোশন ব্যবহার করলে কোনও লাভ হয় না। ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখার সবচেয়ে ভাল সময় হল স্নান থেকে বেড়িয়েই ময়েশ্চারাইজার লাগানো। স্নানের পর কয়েক মিনিটের মধ্যে লোশন, ক্রিম বা যে কোনও ময়েশ্চারাইজার লাগান।

সর্বত্র সাবান ব্যবহার 

শরীরের কিছু অংশ পরিষ্কার রাখতে সাবানের প্রয়োজন হয় না। বগল, কোমর, পায়ের পাতা এবং মুখের মতো জায়গায় ন্যূনতম সাবান লাগান এবং এই জায়গাগুলি হালকা গরম জল দিয়ে পরিষ্কার করুন। গোপনাঙ্গেও সাবান লাগান থেকে বিরত থাকুন, না হলে জ্বালাপোড়ার সমস্যা হতে পারে।

ক্ষত ঢেকে স্নান করা 

শরীরে ছোটখাটো ক্ষত থাকলে স্নানের সময় ঢেকে রাখা এড়িয়ে চলুন। যদি আপনার ক্ষতটি ছোট হয় তবে প্রতিদিন ব্যান্ডেজটি সরিয়ে হালকা গরম জল দিয়ে পরিষ্কার করা ভাল। স্নানের সময়ও এগুলি খোলা রেখে স্নানের পর ক্ষত শুকিয়ে নতুন ব্যান্ডেজ লাগান।

 

POST A COMMENT
Advertisement