পোস্তর অনেক দাম। তার বদলে অনেকে তিলের বড়া করেন। আবার অনেকে আলু পোস্ততেও অল্প তিল বেটে দেন। মাছের ঝালেও তিল বাটা ভাল লাগে। তিল খেতে তো দারুণ। কিন্তু আপনি কি জানেন... তিল অত্যন্ত পুষ্টিকর। স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রয়েছে অসংখ্য খাদ্য়গুণ। প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদে তিলের ব্যবহার চলে আসছে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা তিলকে 'সুপারফুড' হিসেবে গণ্য করেন।
তিলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক এবং ভিটামিন ই রয়েছে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজমের জন্য উপকারী।
তিলে থাকা মোনোস্যাচুরেটেড ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তে কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তিলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও জিঙ্ক থাকে, যা হাড় শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য এটি খুব উপকারী।
তিলের তেল ত্বক মসৃণ এবং কোমল করে। এটি চুল পড়া কমায় এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। তিলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
তিলের ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
তিলে থাকা আয়রন এবং জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি সর্দি-কাশি প্রতিরোধে সহায়ক।
তিল আপনি রোস্ট করে খেতে পারেন, সালাডে যোগ করতে পারেন, অথবা তিলের লাড্ডু বানিয়ে খেতে পারেন। তিলের তেল রান্নায় ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যায়।
তবে মনে রাখবেন,
তিল খাওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ততা এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত তিল হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। যদি তিলে অ্যালার্জি থাকে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
তিলের পুষ্টি ও উপকারিতা অসীম। এটি শরীরকে ভেতর থেকে মজবুত করে এবং নানান রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তিল যোগ করুন এবং সুস্থ জীবনযাপন করুন।