Brain Boosting Foods: আমাদের শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে অন্যতম হল মস্তিষ্ক। প্রতিটি ভাবনা, প্রতিক্রিয়া ও শরীরের ক্রিয়া-কলাপের উপর এরই নিয়ন্ত্রণ। তবে এই ব্রেন ঠিকঠাক কাজ করতে গেলে চাই নির্দিষ্ট পুষ্টি। যদি পুষ্টির ঘাটতি হয়, তাহলে স্মৃতি, মনঃসংযোগ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা—সব কিছুতেই টান পড়ে। তাই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে চাই সঠিক খাবার।
জানেন কি, কয়েকটি নির্দিষ্ট খাবার আছে, যেগুলি ‘ব্রেন ফুড’ নামে পরিচিত? নিয়মিত খেলে এই খাবারগুলো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য অনেকটা উন্নত করে দিতে পারে।
তেলযুক্ত মাছ
মস্তিষ্কের কোষ ঠিকমতো কাজ করতে গেলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন হয়। সালমন, টুনা আর হেরিং মাছ ওমেগা-৩-এ ভরপুর। এই উপাদান ব্রেন সেলের গঠন মজবুত করে এবং স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত তেলযুক্ত মাছ খেলে কগনিটিভ স্কিলসও উন্নত হয়।
ডার্ক চকলেট
শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্যগুণেও এগিয়ে ডার্ক চকলেট। এতে থাকে কোকো এবং ফ্ল্যাভোনয়েড, যা এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, বিশেষ করে সেইসব অংশে যা স্মৃতির সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে দেয়, ফলে ব্রেন থাকে তরতাজা।
বেরি জাতীয় ফল
ডার্ক চকলেটের মতোই ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, স্ট্রবেরির মতো বেরিগুলিতেও থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলিতে থাকা অ্যন্থোসায়ানিন, ক্যাফিক অ্যাসিড, ক্যাটেচিন, কোয়েরসেটিন প্রাকৃতিকভাবেই ব্রেনের প্রদাহ কমায় এবং কোষের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে।
কফি
ক্যাফিন সমৃদ্ধ কফি একদিকে যেমন ক্লান্তি কাটায়, তেমনই মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখে। এটি ব্রেনের অ্যাডেনোসাইন নামক রাসায়নিককে রোধ করে, যা মূলত ঘুম আর আলস্যের জন্য দায়ী। তাই পড়াশোনার সময় বা মনঃসংযোগে ঘাটতি দেখা দিলে কফি দারুণ উপকারী।
ব্রকোলি
সবুজ সবজির মধ্যে ব্রেনের জন্য সবচেয়ে ভালো হল ব্রকোলি। এতে থাকে গ্লুকোসিনোলেটস নামের একটি যৌগ, যা ব্রেনের কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং ব্রেনের সচলতা ধরে রাখে।
এইসব খাবার রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখলে বাড়বে আপনার স্মৃতিশক্তি, মনঃসংযোগ ও মানসিক স্থিতিশীলতা। শুধু পড়া মুখস্থ নয়, জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও মস্তিষ্ক যদি থাকে সজাগ, তবে জয় আপনারই।