নতুন প্রজন্ম ট্যাটুর ফ্যান। তাঁরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে নানারকমের ট্যাটু করান। এটাই তাঁদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে। সকলের মধ্যেও আলাদা লাইমলাইট কেড়ে এনে দেয় বলে তাঁরা করেন বিশ্বাস।
তবে ট্যাটু নিয়ে কয়েকটা ধারণা আমাদের মধ্যে এখনও চালু রয়েছে। সেগুলির মধ্যে কিছু ঠিক, কিছু ভুল। আর আজ আমরা এমনই একটি ধারণা নিয়ে কথা বলব।
আসলে অনেকেই মনে করেন, ট্যাটু করলে আদতে রক্ত দেওয়া যায় না। তবে প্রশ্ন হল, এই ধারণা কি ঠিক? সেই প্রশ্নের উত্তর জানতেই আমরা যোগাযোগ করেছিলাম কলকাতা শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল এবং রক্তদান সচেতনতা বৃদ্ধিকারী ডি আশিসের সঙ্গে। আসুন তাঁদের মতামত জেনে নেওয়া যাক।
ট্যাটু করলে কি রক্ত দেওয়া যায় না?
এই প্রশ্নের উত্তরে ডাঃ পাল বলেন, 'আজকাল অনেকেই রাস্তার ধারের যে কোনও দোকান থেকে ট্যাটু করিয়ে নেন। দোকানের মান দেখেন না। আর এই ভুলেই বিপদ হতে পারে। এর থেকে বড়সড় বিপদ যেমন এইচআইভি, হেপাটাইটিস থেকে শুরু করে একাধিক ভয়াবহ রোগ নিতে পারে পিছু। আর এই রোগগুলি নিয়ে রক্ত দেওয়া যায় না। তাই ট্যাটু করার পর রক্তদান করা নিয়ে এত কথা চালু রয়েছে।'
তবে যদি ঠিক ঠাক জায়গা থেকে ট্যাটু করা হয়, তাহলে রক্তদানে কোনও সমস্যা নেই বলেই মনে করেন তিনি। যদিও ট্যাটু করার ৬ মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্লাড টেস্ট করেই রক্ত দিতে বললেন ডাঃ পাল।
কী বলছেন ডি. আশিস?
রক্তদান নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন ডি.আশিস। তাঁর মতে, রক্তদান প্রাণ বাঁচায়। আর দেশের মানুষের মধ্যে এখনও রক্তদান নিয়ে আগ্রহ কম।
ট্যাটু সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা বলেন, 'আসলে ট্যাটু করার সময় শরীরে সুচ ফোটানো হয়। এছাড়া নানা ধরনের রাসায়নিকও ত্বকে প্রবেশ করে। আর এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর থেকে স্বাস্থ্যের বড়সড় সমস্যা হতে পারে। তাই ভালো জায়গা থেকে যদি ট্যাটু না করা হয়, তাহলে অবশ্যই রক্তদানের আগে সেখানে উপস্থিত চিকিৎসককে জানান। তিনি বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে একটা কথা ঠিক, এ ভাবে ট্যাটু নিয়ে রক্ত দেওয়া অনেকের শরীরে বড় রোগ থাকে। যার ফলে তাঁদের রক্ত ব্যবহার করা যায় না।'
তাই নিজে সুস্থ থাকতে এবং রক্তদানের মতো মহৎ কাজে অংশ নিতে ভালো জায়গা থেকেই ট্যাটু করুন। আর চাইলে নাও করতে পারেন।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।