ক্লান্তির পিছনে হার্টের অসুখকাজ করলে ক্লান্ত লাগবে। সেটাই স্বাভাবিক। তবে অনেকেরই সারাদিন ক্লান্ত লাগে। জীবনকে গিলে নেয় ল্যাথার্জি। আর এই সমস্যাকে অনেকেই সাধারণ ভেবে নজর দেন না। যদিও বিএম বিড়লা হার্ট হাসপাতালের বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ সুমন চট্টোপাধ্যায়ের মতে, এর পিছনে থাকতে পারে একাধিক গুরুতর সমস্যা। এমনকী সারাদিন ক্লান্তির পিছনে হার্টের অসুখ থাকতে পারে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন, ক্লান্তির নেপথ্যে করোনারি আর্টারি ডিজিজ কলকাঠি নাড়তে পারে। তাই সাবধান হওয়া ছাড়া গতি নেই।
কী এই অসুখ?
আমাদের গোটা শরীরের যেমন অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত লাগে, ঠিক তেমনই হার্টেরও নিজের কাজ করে চলার জন্য পরিশুদ্ধ রক্ত প্রয়োজন হয়। আর হার্টে অক্সিজেন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যায় করোনারি আর্টারির মাধ্যমে। এবার এই রক্তনালীতে যদি কোনওভাবে কোলেস্টেরল বা অন্যান্য উপাদান জমে, তখন রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। যার ফলে হার্টের পেশি অক্সিজেন এবং অন্যান্য উপকারী পুষ্টি উপাদান পায় না। আর এই সমস্যাকেই করোনারি আর্টারি ডিজিজ এবং বুকে ব্যথা হতে পারে।
আর ডাঃ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, এই অসুখের কারণেই কম বয়সী এবং মধ্য বয়সীদের মধ্যে ক্লান্তি বাড়ছে।
কেন হচ্ছে এই অসুখ?
এর পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন ডাঃ চট্টোপাধ্যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, খারাপ জীবনযাত্রা, ধূমপান, মদ্যপান, পরিশ্রম না করা, ব্যায়াম না করা, ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড ফুড খাওয়া ইত্যাদি। তাই এই ধরনের বদভ্যাস থাকলে শুধরে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন এই চিকিৎসক।
তবে শুধু করোনারি আর্টারি ডিজিজ নয়, এর পাশাপাশি ভালভার হার্ট ডিজিজ, কার্ডিওমায়োপ্যাথি এবং পালমোনারি হাইপারেটেনশনের জন্যও অত্যন্ত ক্লান্ত লাগতে পারে। তাই এমনটা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
অ্যানিমিয়া নিয়েও সাবধান
অনেকেই অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যায় আক্রান্ত। আর এই অসুখও মানুষকে ক্লান্ত করে দিতে পারে। দুর্বলতা গ্রাস করতে পারে। আর এই অসুখেরও দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। তাই এমন পরিস্থিতিতে সাবধান হওয়া ছাড়া সত্যিই গতি নেই।
আবার কিছু ক্ষেত্রে মানসিক কারণেও ক্লান্ত লাগে। বিশেষত, অবসাদের জন্যও পিছু নেয় এই সমস্যা। তাই সাবধান হয়ে যান।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।