ভেজানো আমন্ডঅনেকেই নিয়মিত আমন্ড খান। তাতেই স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে বলে মনে করেন তাঁরা। যদিও একদল মানুষ আবার শুকনো আমন্ড খেতে বারণ করেন। তার বদলে জলে ভেজানো আমন্ড খাওয়ার পরামর্শ দেন।
এখন প্রশ্ন হল, শুকনো না জলে ভেজানো আমন্ড খেলে মিলবে উপকার? কোনটা শরীরের জন্য বেশি উপকারী? আর সেই প্রশ্নের উত্তরটাই আমাদের দিলেন ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের প্রধান ডায়েটিশিয়ান মীনাক্ষী মজুমদার।
কী বললেন তিনি?
তাঁর কথায়, আমন্ড আপনি খেতেই পারেন। যে কোনও মানুষ এই বাদাম খেতে পারেন। এটা অত্যন্ত উপকারী। আর আমন্ড শুকনো অবস্থায় এবং ভিজিয়েও খাওয়া যায়। তাতে কোনও সমস্যা নেই। তবে যদি তুল্য়মূল্য বিচার করা হয়, তাহলে ভেজানো আমন্ড খাওয়া একটু বেশি উপকারী। কারণ, এটি খেলে শরীরে তরলের ঘাটতি কিছুটা হলেও মিটে যেতে পারে। পাশাপাশি আমন্ডের অন্যান্য গুণ তো পাবেনই।
কখন ভেজাবেন?
রাতে শোয়ার আগে এই বাদাম ভিজিয়ে নিন। তারপর সকালে উঠে ব্রেকফাস্টের পর খেয়ে নিন। তাতেই সুস্থ হওয়ার কাজে এগিয়ে যাবেন।
তবে কেউ যদি আমন্ড ভিজিয়ে না খেতে চান, তাহলেও কোনও সমস্যা নেই। সেটাও খেতে পারেন। এতে উপকারই মিলবে হাতেনাতে।
কী কী লাভ পাবেন আমন্ড খেলে?
আমন্ড খাওয়ার রয়েছে একাধিক উপকার। এই বাদাম নিয়মিত খেলে একাধিক লাভ পাবেন-
ব্রেন পাওয়ার বাড়বে
এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। আর এই ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ককে দ্রুত কাজ করতে করে সাহায্য। যার ফলে ব্রেন পাওয়ার বাড়ে। খোলে বুদ্ধি। স্মৃতিশক্তি চাঙ্গা থাকে।
হার্ট থাকবে সুস্থ
দেখা গিয়েছে, নিয়মিত এই বাদাম খেলে ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। কমে যায় এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল। এছাড়া এতে মজুত রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে এই বাদাম নিয়মিত খান। তাতেই ফল পাবেন হাতেনাতে।
ওজন কমবে
এই বাদাম খেলে অনেকটা সময় পেট ভরে থাকবে। এতে উপস্থিত ফাইবারের গুণেই মূলত এই লাভ পাবেন। যার ফলে খিদে পাবে কম। আর কম খেলে যে ওজন কমে যাবে, এই কথা তো বলাই বাহুল্য!
এছাড়া পরিশেষে বলি, এই বাদাম ইনফ্লামেশন কমাতে পারে। আর যে কোনও ক্রনিক অসুখের কারণ হল প্রদাহ। তাই সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত আমন্ড খাওয়া মাস্ট।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।