হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বয়স একটু বাড়ল কি না, পিছু নিচ্ছে এই বিপদ। আর এটা কথার কথা নয়। বরং তথ্যেও এর প্রমাণ রয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের তথ্য জানাচ্ছে, প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ প্রতিবছর হাড়জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে ফ্র্যাকচারের শিকার হন। আর এটা সত্যিই একটা বড় সংখ্যা।
এখন প্রশ্ন হল, এই সমস্যার থেকে দূরে থাকার কি কোনও উপায় নেই? উত্তর হল রয়েছে। বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জেন মোহিত গুপ্তের মতে, নিয়মিত কিছু খাবার খেলেই হাড়ের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যাবে। ভবিষ্যতে জয়েন্টের ব্যথা হবে না। আর এই বিষয়ে তিনি একটা ভিডিও শেয়ার করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রামে।
তাই আর সময় নষ্ট না করে হাড়ের জোর বাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী তেমনই কিছু খাবার সম্পর্কে দ্রুত জেনে নিন।
কিছু সবজি রাখতে হবে ডায়েটে
ডাঃ গুপ্তের মতে, পালংশাক, কেলে, ব্রকোলির মতো শাক ও সবজি হাড়ের জন্য খুবই উপকারী। আসলে এগুলিতে উপস্থিত রয়েছে ভিটামিন কে। আর এই ভিটামিন হাড়ের জোর বাড়াতে পারে। তাই ডায়েট এগুলি অ্যাড করা মাস্ট।
ফ্যাটি ফিশ খান
হাড়ের জোর বাড়াতে চাইলে খেতে হবে মেদযুক্ত মাছ। কারণ, স্যামন, সার্ডিন, ম্যাকেরেলের মতো ফ্যাটি ফিশে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি। আর এই সব উপাদান ইনফ্লামেশন কমাতে সাহায্য করে। বাড়ায় হাড়ের জোর।
ডেয়ারি প্রোডাক্ট মাস্ট
ডাঃ গুপ্ত জানাচ্ছেন, দুধ, দই এবং চিজে রয়েছে ক্যালসিয়ামের ভাণ্ডার। শুধু তাই নয়, এতে প্রোটিনও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। আর এই সব পুষ্টি উপাদান হাড়ের জোর বাড়াতে পারে। পাশাপাশি হাড়ের ক্ষয়ক্ষতি আটকে দেয়।
ড্রাই ফ্রুট এবং বীজও খান
আমন্ড, ওয়ালনাট এবং চিয়া সিডে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম। এছাড়া এগুলিতে উপকারী ফ্যাটও উপস্থিত। যেই কারণে এই সব খাবার খেলে শক্ত হবে হাড়। পাশাপাশি জয়েন্টের জোরও বৃদ্ধি পাবে।
সাইট্রাস ফ্রুটও রাখুন ডায়েটে
ডাঃ গুপ্ত বলেন, কমলালেবু, বাতাবিলেবু এবং আমলকী খেতে হবে নিয়মিত। তাতে দেহে প্রবেশ করবে ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন কোলাজেন তৈরি করতে পারে। যার ফলে হাড়ের জোর বাড়ে। জয়েন্টের নমনীয়তা ঠিক থাকে।
তাই আপনি যদি বুড়ো বয়স পর্যন্ত হাড় শক্ত রাখতে চান, তাহলে এই খাবারগুলি এখনই খাওয়া শুরু করে দিন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।