Reasons Behind increasing Dog Bite, Attack: কুকুর এবং মানুষের সহাবস্থান বহু যুগ প্রাচীন। কুকুরকে 'মানুষের সেরা বন্ধু'ও বলা হয় এই দুই প্রাণীর মধ্যে পারস্পরিক সুনিয়ন্ত্রিত এবং ভারসাম্যযোগ্য বোঝাপড়ার জন্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইদানীং কুকুরের কামড়ে শিশু মৃত্যু বা একাধিক জনের জখম হওয়ার খবর সামনে এসেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন মানব সভ্যতার ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। কিন্তু শুধু মানুষই নয়, দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে কুকুরের স্বভাবের উপরেও। এমনটাই জানিয়েছেন গবেষকরা হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক গবেষণায় ক্রমশ বাড়তে থাকা কুকুরের কামড় এবং ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা সহ দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে একটি সংযোগসূত্র তুলে ধরা হয়েছে। গবেষকদের দাবি, পৃথিবীতে বাড়তে থাকা গরম এবং চরম আবহাওয়া কুকুরের মেজাজের উপরেও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত গবেষণার রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে। এই গবেষণায় একাধিক পরিবেশগত কারণগুলিকে খতিয়ে দেখা হয়েছে যেগুলি মানুষের উপর কুকুরের কামড়ানো বা আক্রমণে দৈনিক হারকে প্রভাবিত করতে পারে।
২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটটি শহরে কুকুরের কামড়ের ৬৯,৫২৫টি ঘটনা বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। এই গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন যে, কুকুরের কামড়ের ঘটনা গ্রীষ্মে বাড়লেও বর্ষায় বা শীতে কমে যায়। গবেষকদের দাবি, গ্রীষ্মে উচ্চ অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণের ফলে কুকুরের মধ্যে উচ্চতর সেক্স-স্টেরয়েডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেক্স-স্টেরয়েডের মাত্রা বৃদ্ধিকে কুকুরের এই অস্বাভাবিক আগ্রাসনের জন্য দায়ী করা যেতে পারে। কুকুর ছাড়াও ইঁদুর এবং রেসাস বাঁদরের উপরেও এই অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণের একই রকম প্রভাব লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের দাবি, কুকুরের কামড়ের ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধির পিছনেও তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণের প্রভাব রয়েছে।