বর্তমান সময়ে পেটের মেদ এবং বাড়তি ওজন একটি খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেটের চর্বির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। জাঙ্ক ফুড এবং ভাজাভুজি খাবার পেটে মেদ বাড়ার সমস্যার মূল কারণগুলির মধ্যে একটি। পেটের মেদ কমাতে খাবারে ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই জরুরি। এছাড়া ব্যায়াম ও ডায়েটে কিছু বিশেষ জিনিস অন্তর্ভুক্ত করেও পেটের মেদ ও ওজন কমানো যায়।
পেটে একটু মেদ থাকা স্বাভাবিক হলেও, তা বেশি হলে অনেক রোগের সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। পরিবর্তিত জীবনধারা এবং ব্যস্ত জীবন ছাড়াও ভুল খাদ্যাভ্যাস পেটের মেদ বা ওজন বাড়ার প্রধান কারণ। জানুন রোজকার ডায়েটে কী কী রাখলে দ্রুত ওজন কমবে।
গ্রিন টি
পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে গ্রিন টি খুবই উপকারী। অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, গ্রিন টি ফ্যাট বার্নে সাহায্য করে। এতে অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা, স্থূলতা এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই সারাদিনে অন্তত এক কাপ গ্রিন টি পান করুন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণে ভরপুর গ্রিন টি রক্ত প্রবাহে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়ায়। গ্রিন টি-তে ক্যাটিচিন নামে এক ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড পাওয়া যায় যা অতিরিক্ত চর্বি পোড়াতে এবং ওজন কমাতে কার্যকর।
ফল এবং শাকসবজি
পালং শাক, মেথি এবং অন্যান্য শাক-সবজির স্যালাড পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। কারণ এগুলি ভিটামিন, অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এই সব সবজি পেটের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। এগুলো শরীরে পুষ্টি জোগায়। পালং শাক শরীরের চর্বি বার্নে সাহায্য করে।
ঘুম
আপনি যদি স্থূলতা এড়াতে চান, তাহলে পেটের মেদ কমাতেও ঘুম জরুরি। সুস্থ থাকতে প্রত্যেক মানুষের প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। ঘুমের ঘাটটি হলেই ওজন বৃদ্ধি পায়। ৭-৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম, হজম প্রক্রিয়াকে ভালভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, যা আপনার বিপাককে গতি দেয় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
ব্রেকফাস্ট করা আবশ্যক
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়ার ভুল করবেন না। অনেকে ভাবেন, ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যেতে পারলেই ওজন কমবে। উল্টে এটি শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এতে শরীরের মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায় এবং শরীরের খারাপ চর্বি পোড়াতে অসুবিধা হয়।
ব্যায়াম
ওজন কমাতে- পেটের চর্বি পোড়াতে ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি নির্দিষ্ট ধরণের ব্যায়াম এবং যোগব্যায়াম করেন, তবে কোমরের চর্বি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।