Fish Side Effects: বাঙালির পাতে মাছ না হলে যেন ভাতই জমে না। নদী, নালা, খাল, বিলের দেশে মাছ শুধু খাদ্য নয়, বরং সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ইলিশ থেকে রুই, পোনা থেকে পাবদা—বাঙালি জানে মাছ রান্নার নানা রকম কৌশল। মাছ শুধু স্বাদের জন্য নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। মাছে থাকা প্রোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও নানা ভিটামিন শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়ানো, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা—সবেতেই কার্যকর এই জলজ প্রাণী।
তবে উপকারের পাশাপাশি কিছু ক্ষতির দিকও রয়েছে, যা অনেকেই জানেন না বা গুরুত্ব দেন না। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে মাছ খাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকতে হয়। কিছু প্রজাতির মাছে পারদের মাত্রা বেশি থাকায় তা ভ্রূণের বিকাশে বাধা দিতে পারে। পাশাপাশি মাছ খাওয়ার পর দুধ খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে, হতে পারে গ্যাস বা পেটের অস্বস্তি। অনেক সময় ত্বকের সমস্যাও দেখা যায়, বিশেষ করে সাদা দাগের মতো চর্মরোগের আশঙ্কা থাকে।
অতএব মাছ খেতে হবে বুঝে-শুনে, শরীরের অবস্থা অনুযায়ী। উপকার পেতে মাছ থাকুক খাদ্যতালিকায়, তবে প্রয়োজনীয় সচেতনতা মেনে।
মাছ খাওয়ার উপকারিতা
বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই কার্যকর। মাছে এই উপাদান ভাল মাত্রায় থাকে, যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সঙ্গে থাকে প্রোটিন, যা নতুন কোষ তৈরিতে সহায়ক। ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে রোজকার খাদ্যতালিকায় মাছ রাখাই যায়।
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য মাছ অত্যন্ত উপকারী। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, ফলে হৃদরোগ ও অন্যান্য জটিলতা এড়ানো যায়।
চোখ সুস্থ রাখতে হলে পুষ্টিকর খাদ্য জরুরি। মাছে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেসব চোখের সমস্যা দেখা দেয়, তা প্রতিরোধে উপকারী হতে পারে মাছ।
মাছ খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিক
সব সময় যে মাছ খাওয়াই ভালো, তা কিন্তু নয়। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় মাছ খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেন চিকিৎসকেরা। কিছু প্রজাতির মাছে থাকা পারদ বা অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান ভ্রূণের বিকাশে বাধা দিতে পারে।
তাই গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে মাছ খাওয়ার আগে পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
অনেকেই জানেন না, দুধ ও মাছ একসঙ্গে খেলে হতে পারে ত্বকের সমস্যা। বিশেষ করে সাদা দাগের মতো চর্মরোগের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। মাছ খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে দুধ খেলে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। গ্যাস, অম্বল বা পেটে অস্বস্তি হতে পারে। তাই মাছ খাওয়ার পর অন্তত কিছুক্ষণ অপেক্ষা না করে দুধ খাওয়া ঠিক নয়।