অস্টিওপোরোসিস এমন একটি রোগ যা, হাড়কে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়ে। অস্টিওপোরোসিসের ফলে সৃষ্ট ফ্র্যাকচার সাধারণত নিতম্ব, কব্জি বা মেরুদণ্ডে হয়। এটি হলে, শরীরের হাড় ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। শুধু খাবারের মাধ্যমে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমানো সম্ভব না। এর জন্য ডায়েটে কিছু বিশেষ জিনিস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি এবং হাড় মজবুত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ডায়েটে রাখলে, হাড় মজবুত হয়। এছাড়াও, ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হয়। সূর্যের আলো এবং আরও কিছু বিশেষ কিছু জিনিসে এটি থাকে।
ম্যাগনেসিয়াম হাড়ে খনিজ সরবরাহ করে। ভিটামিন কে হাড়ের বিপাক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি সবুজ শাক-সবজিতে পাওয়া যায়। হাড় মজবুত রাখতে প্রচুর প্রোটিন প্রয়োজন। জানুন কোন ধরনের খাবার হাড় মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে।
দুগ্ধজাত দ্রব্য- এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি রয়েছে। হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করতে এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে দুগ্ধজাত দ্রব্য।
স্যামন- স্যামন মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ এবং ভিটামিন ডি থাকে, যা হাড়কে শক্তিশালী করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
বাদাম- বাদামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়। এটি হাড় মজবুত রাখতে এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কমলালেবু- কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এটি শরীরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। এটি খেলে হাড় মজবুত হয়।
ডিম - প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি, এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন কে রয়েছে, যা হাড়কে মজবুত করে।
তিলের বীজ- এই ছোট বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস থাকে যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।