প্রায় ১২ মাসই বাজারে পেয়ারা পাওয়া যায়। অনেকেই পেয়ারাকে সস্তা ফল ভেবে উপেক্ষা করেন। তবে এই ফল এতটাই পুষ্টিকর যে, আপনি প্রতিদিন খেতে শুরু করবেন। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি১২, বি৬, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই-এর মতো অনেক পুষ্টি উপাদান পেয়ারাতে পাওয়া যায়।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে এতে কমলালেবুর চেয়েও বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। পেয়ারা ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। একশো গ্রাম পেয়ারায় দুশো মিলিগ্রাম ভিটামনি সি আছে। অর্থাৎ পেয়ারায় কমলালেবুর চেয়ে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি আছে। পেয়ারার খোসায় কমলালেবুর চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। এছাড়াও রয়েছে আরও উপকারিতা।
ওজন কমাতে সহায়ক
পেয়ারায় ক্যালোরি কম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। উচ্চ ফাইবার সামগ্রীর কারণে, এটি আপনাকে পূর্ণ বোধ করে, যা আপনাকে বারবার খেতে বাধা দেয়। এটিতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় খাদ্যতালিকাগত ফাইবার রয়েছে। অতএব, আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত কারণ এটি আপনাকে একটি বা দুটি নয় বরং অনেক উপকার দেবে।
ত্বকের জন্য উপকারী
পেয়ারায় ভিটামিন সি বেশি থাকে, তাই এটি খেলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এগুলি ত্বককে টোন করতে এবং এর গঠন উন্নত করতেও সহায়তা করে।
বার্ধক্যের লক্ষণ দূরে রাখে
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, পেয়ারা আপনাকে তরুণ রাখতে সাহায্য করতে পারে। এতে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে আপনার ত্বক যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়, তাহলে এর ব্যবহার অনেকাংশে তা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন সি থাকার কারণে পেয়ারা কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ায়, যা আপনার ত্বককে টানটান রাখে।