শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির মধ্যে তেল অন্যতম। এটি শক্তি প্রদান করে, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ শোষণ করতে সাহায্য করে এবং শরীরের অনেক প্রয়োজনীয় কাজে ভূমিকা পালন করে। আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট-যুক্ত তেল হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে ভালো। এগুলো খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
কিছু তেল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই ধরনের তেলের অতিরিক্ত ব্যবহার স্থূলতা, হৃদরোগ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, হজমের সমস্যা যেমন বদহজম, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে। এই কারণে আপনার জানা উচিত কোনটি রান্নার জন্য সবচেয়ে ভালো তেল, কীভাবে এবং কী পরিমাণে তেল ব্যবহার করা উচিত। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনি নিজেকে সুস্থ রাখতে পারেন।
FSSAI ভারতে খাদ্যদ্রব্যের গুণমান নিরীক্ষণকারী বৃহত্তম সংস্থা। ভাল স্বাস্থ্যের জন্য কোন তেল, কী পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত তা বলেছে FSSAI।
ভোজ্য তেল বদলে বদলে ব্যবহার করুন
বিভিন্ন তেল বিভিন্ন ধরণের ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে যা শরীরের ভাল কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। তেলের ভাল সুবিধা পেতে, আপনার তাদের বদলে বদলে ব্যবহার করা উচিত।
কীভাবে বিভিন্ন তেল ব্যবহার করবেন
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি চিড়ের পোলাও বানাচ্ছেন, তিলের তেল (Sesame oil) ব্যবহার করুন, দুপুরের খাবারে, সবজিতে সর্ষের তেল ব্যবহার করুন, ডালে ঘি দিন। একরকম, রাতে সবজি রান্না করতে সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করুন।
কোন তেল রান্নার জন্য সবচেয়ে ভালো
FSSAI এর মতে, রান্নার জন্য বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করা উপকারী। আপনি সূর্যমুখী, কুসুম তেল (Safflower), তুলা বীজ তেল (Cottonseed Oil) এবং রাইস ব্রান তেল ব্যবহার করতে পারেন।
যদি প্রতিদিন না হয় তবে মাসে মাসে তেল পরিবর্তন করুন
আপনি যদি প্রতিদিন তেল পরিবর্তন করতে না পারেন, FSSAI সুপারিশ করে যে আপনি প্রতি মাসে তেল পরিবর্তন করতে পারেন। তেল ব্যবহারের এই উপায় হৃৎপিণ্ড ও শরীর সুস্থ রাখার সর্বোত্তম উপায়। এ ছাড়া তেল খুব কম ব্যবহার করুন।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
অলিভ অয়েল, সয়াবিন তেল, চিনাবাদামের তেল এবং সূর্যমুখী তেল হল অসম্পৃক্ত চর্বি তেল যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। নারকেল তেল এবং পাম তেল হল স্যাচুরেটেড ফ্যাট তেল। এগুলি অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। ট্রান্স ফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এগুলো একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। শুধুমাত্র কম তাপমাত্রায় তেল গরম করুন।