বেগুন ভাজা হোক কিংবা ভর্তা, বেগুনের নানা রকম পদ দারুণ সুস্বাদু। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই সাধারণ বেগুনেই লুকিয়ে রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ।
বেগুনে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট
বেগুনে ‘নাসুনিন’ নামের একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানটি মূলত বেগুনের খোসায় থাকে। নাসুনিন আমাদের দেহের কোষকে ক্ষতিকর ‘ফ্রি র্যাডিক্যাল’ থেকে রক্ষা করে। যার ফলে বার্ধক্যজনিত রোগ, হৃদরোগ এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে। তাই কখনও বেগুনের খোসা ছাড়াবেন না। খোসা-সহ খাওয়াই বেশি উপকারী।
হৃদযন্ত্রের জন্য ভাল
বেগুনে রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এই দুই উপাদান হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত বেগুন খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাছাড়া বেগুনে থাকা ডায়েটারি ফাইবার রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
হজমের সমস্যা দূর করে
বেগুনে থাকে প্রচুর ফাইবার। এটি হজমের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত বেগুন খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। পেট পরিষ্কার থাকে। পাশাপাশি বদহজমের সমস্যাও অনেকটাই কমে যায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে রোজকার ডায়েটে বেগুন রাখতে পারেন। কারণ বেগুনে ক্যালোরি খুবই কম। আবার ফাইবার বেশি থাকার ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এই কারণেই ওজন কমানোর ডায়েটে বেগুন অত্যন্ত উপযোগী।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেগুন রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে থাকা পলিফেনল ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরাও নিশ্চিন্তে বেগুন খেতে পারেন। তবে যাঁদের শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ত্বকের যত্নেও বেগুন
বেগুনে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন সি ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের বার্ধক্য রোধে সহায়তা করে। নিয়মিত বেগুন খেলে ত্বক থাকে সতেজ ও প্রাণবন্ত।
বেগুন কীভাবে খাবেন?
বেগুন খেতে হলে ভাজার বদলে ভাপা, সেদ্ধ বা হালকা ভেজে খাওয়া বেশি উপকারী। বেগুনের ভর্তা, বেগুন পটল চচ্চড়ি, বেগুনের ঝাল এমনকি রোস্ট করেও খেতে পারেন। তেল কম দেবেন।
বেগুন শুধুই স্বাদের জন্য নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী। তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই রোজকার ডায়েটে বেগুন রাখুন। নিয়মিত বেগুন খেলে শরীর যেমন ভালো থাকবে, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।