বর্তমান সময়ে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) ও স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে। ভারতে হৃদরোগের ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে বয়স্করা এই রোগে ভুগতেন। কিন্তু এখন তরুণ এবং শিশুদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে- মানসিক চাপ, ভুল খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ঘুমের অভাব, অতিরিক্ত অ্যালকোহল এবং সিগারেট খাওয়া। যদি নিজেকে হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে চান, তাহলে এর জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং কিছু বিষয়ের যত্ন নেওয়া উচিত।
লবণ সীমিত করুন
রোজ লবণ গ্রহণ সীমিত করুন। অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ আপনার শরীরে তরল ধারণের কারণ হয়, যা রক্তচাপ বাড়ায় এবং হার্টকে আরও বেশি কাজ করতে বাধ্য করে। হার্টের উপর দীর্ঘমেয়াদী চাপ পড়লে, অসুস্থ করে তুলতে পারে আপনারে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ফলে ধমনীতে প্লাক জমা (অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস) হতে পারে, যা হার্টে রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং আপনাকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ
অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে, যা স্থূলতা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। চিনি প্রদাহ, উচ্চ রক্তচাপ এবং গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
জীবনধারা
ব্যায়ামের অভাব, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, দীর্ঘক্ষণ ঘুমানো এবং কম শারীরিক কার্যকলাপ হৃদপিণ্ডের পেশীগুলিকে দুর্বল করে দেয়, যা রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে এবং স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়ায়। হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে, প্রতিদিন বা সপ্তাহে চার থেকে পাঁচবার দ্রুত হাঁটা, জগিং বা যোগব্যায়ামের মতো মাঝারি তীব্রতার ব্যায়াম করা জরুরি।
ধূমপান বিপজ্জনক
তামাকজাতীয় পদার্থে নিকোটিন থাকে, যা হৃদপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলির ক্ষতি করে। এটি আপনার রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস করে এবং রক্তচাপ বাড়ায়। দীর্ঘমেয়াদী সিগারেট ধূমপান ক্যান্সার এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ায়।
মদ্যপান
অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ রক্তচাপ বাড়ায়, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়ায় এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন এবং হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতার মতো গুরুতর অবস্থার দিকে পরিচালিত করতে পারে।