High Uric Acid: বর্তমান সময়ে ইউরিক অ্যাসিড রোগ খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে, যার কারণে দীর্ঘস্থায়ী নানা রোগের জন্ম হয়। খারাপ জীবনযাপন, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, কম জল খাওয়া এবং ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
আসলে ইউরিক অ্যাসিড শরীরে ময়লার মতো জমে যায়। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে গাঁটের সমস্যা, কিডনির রোগ, হৃদরোগের মতো বিপজ্জনক রোগও হতে পারে। অনেক সময় এমনও হয় যে, ইউরিক অ্যাসিড শরীরে ক্রিস্টালের রূপ নেয় এবং ধীরে ধীরে জয়েন্টের চারপাশে জমা হতে থাকে। যার কারণে জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা শুরু হয়।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ার কারণ কী?
* রাতে বেশি খাওয়া
* খারাপ জীবনধারা
* কম জল পান করা
* সঠিক সময়ে না খাওয়া ও ঘুমানো
* বেশি করে আমিষ খাওয়া
* স্ট্রেস
ইউরিক অ্যাসিডের জন্য সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা
গেঁটে বাত
গেঁটে বাত, বাতের এক প্রকার। এই অবস্থায়, শরীরের জয়েন্টগুলিতে ব্যথা শুরু হয়। জয়েন্ট এবং টিস্যুতে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়ে ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। এটি সাধারণত বুড়ো আঙুল, গোড়ালি এবং হাঁটু জয়েন্টকে প্রভাবিত করে।
কিডনির সমস্যা
কিডনি ইউরিক অ্যাসিডের পাশাপাশি রক্ত থেকে অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ ফিল্টার করে। কিডনি রোগ কিডনির ক্ষতি করে এবং তাদের কাজ করতে বাধা দেয়। এর ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিড জমতে শুরু করে।
ইউরিক অ্যাসিডে কী খাবেন না?
সোনালী কিসমিস
কিশমিশ আঙুর থেকে তৈরি হয়। যাতে পিউরিন থাকে। পিউরিন যুক্ত খাবার খেলে বাতের সমস্যা বাড়তে পারে এবং এটি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণও বাড়িয়ে দেয়। গেঁটে বাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ড্রাই ফ্রুটস সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলা উচিত।
তেঁতুলের রস
তেঁতুলের রসের অন্যান্য উপকারিতা রয়েছে ঠিকই। তবে গেঁটে বাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি খাওয়া উচিত নয়। ফ্রুক্টোজের আধিক্য ইউরিক অ্যাসিডের জন্য খারাপ, যার ফল ভাল নয়।
আপেল
আপেলও প্রাকৃতিক ফ্রুক্টোজের একটি রূপ। অনেক বেশি আপেল খেলে বাত আরও খারাপ হতে পারে।
খেজুর
খেজুর এমন একটি ফল যার পিউরিন কম, তবে এতে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি। ইউরিক অ্যাসিড বেশি মাত্রায় থাকলে খেজুর খাওয়া ঠিক নয়। কারণ আপনার রক্তে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। যা, বিপদের লক্ষণ।
সবেদা
সবেদায় ফ্রুক্টোজ বেশি। তাই ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সবেদা এড়িয়ে চলতে হবে।