ডিম আমাদের খাদ্যতালিকার অন্যতম পুষ্টিকর উপাদান। এটি প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং ভালো কোলেস্টেরলের একটি সমৃদ্ধ উৎস। তবে অনেকেই প্রশ্ন করেন, দিনে কতটা ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর এবং বয়স অনুযায়ী এর পরিমাণ কী হওয়া উচিত?
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন ১-২টি ডিম খেতে পারেন। এটি শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। তবে যাঁদের কোলেস্টেরলের সমস্যা বা হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের জন্য ডিমের কুসুম পরিমাণমতো খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১. শিশুদের জন্য (১-৮ বছর):
বাচ্চাদের বয়স অনুযায়ী ডিম খাওয়ার পরিমাণ নির্ভর করে। সাধারণত ১-৮ বছর বয়সী শিশুদের জন্য দিনে ১টি ডিম যথেষ্ট। ডিম শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
২. কিশোর ও তরুণদের জন্য (৯-১৮ বছর):
এই বয়সে শরীরের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। তাই দিনে ২-৩টি ডিম খাওয়া যেতে পারে। ডিমের প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩. প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য (১৮-৬০ বছর):
সাধারণত প্রাপ্তবয়স্করা দিনে ১-২টি ডিম খেতে পারেন। যাঁরা শরীরচর্চা করেন বা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন, তাঁদের জন্য দিনে ৩টি ডিমও উপকারী হতে পারে।
৪. বয়স্কদের জন্য (৬০ বছর বা তার বেশি):
বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডিম খাওয়ার পরিমাণ নির্ধারণে সতর্ক থাকা উচিত। দিনে ১টি ডিম খাওয়া নিরাপদ। কোলেস্টেরল বা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডিম খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে চললে এটি শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয়। তবে অতিরিক্ত ডিম খেলে ওজন বৃদ্ধি বা কোলেস্টেরলের সমস্যা হতে পারে। তাই বয়স অনুযায়ী ডিম খাওয়ার নিয়ম মেনে চলুন এবং সুস্থ থাকুন।