বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে পাক ধরার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। তবে অল্প বয়সে চুলে পাক ধরলে তা বেশ সমস্যার। লোক সমাজে, এ নিয়ে নানা সমস্যায়ও পড়তে হয়। ৫০-এর আগেই এই সমস্যা চলে এলে অনেকেই তা লুকিয়ে রাখার জন্য নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেন। যার মধ্যে আছে, এমন কিছু প্রক্রিয়া যাতে চুলের ক্ষতি হতে পারে।
বাজারের হেয়ার ডাই ব্যবহার করবেন না
বাজারচলতি যে কোনও রংই চুলে মাখা ভাল নয়। তাতে চুলের ক্ষতিই হয়। এ বার কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে পাকা হওয়া চুল কুচকুচে কালো বানিয়ে নিতে পারেন। চুলে মেলানিন কমে যেতে শুরু করলে মূলত ধূসর হতে শুরু করে। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে বাজারে যেসব হেয়ারডাই পাওয়া যায়, তাতে সমস্যা বাড়তে পারে। সে কারণে ঘরোয়া উপায়ে হেয়ার মাস্ক, হেয়ার অয়েল বা হেয়ার টনিক বানিয়ে নিতে পারেন। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের সে টেকনিকের কথাই বলব।
হেয়ার অয়েল: চুলের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী কারি পাতা, নারকেল তেল এবং মেথি দানা। অল্প নারকেল তেলে কারি পাতা এবং মেথি দানা ফুটিয়ে নিতে হবে। এই তেল রোজ স্ক্যাল্প ও চুলে মালিশ করতে হবে। শ্যাম্পু করার মিনিট ৩০ আগে এই তেল মেখে নিতে পারেন।
হেয়ার মাস্ক: ৩ চামচ আমলকির গুঁড়ো নিতে হবে। তার সঙ্গে ৩ চামচ হেনা পাউডার এবং ১ চামচ কফি গুঁড়ো একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে দিন। তাতে জল দিয়ে মিশ্রণ ঘন করে নিন। ওই মিশ্রণটি এ বার চুলে ভাল করে মেখে নিন। তা মাথায় ২ ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
হেয়ার টনিক: এক গ্লাস জল গরম করতে হবে। তাতে এক মুঠো কারি পাতা, ১ চামচ মেথি, ১ চামচ কালোজিরে, ১ চামচ চা পাতা ও ১ চামচ কফি পাউডার ভাল করে মেশান। এ বার সেই মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর ছেঁকে নিন। এই হেয়ার টনিক চুলে ভাল করে স্প্রে করতে হবে। হেয়ার টনিক ব্যবহার করার পর চুল বেঁধে রাখতে হবে ২ ঘণ্টা। এরপর শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে দু’দিন এই হেয়ার টনিক ব্যবহার করতে পারেন।