শরীরের দিকে ঠিক মতো নজর না দেওয়ার কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল জন্ডিস। এই রোগ হলে শরীরের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। কারণ এই সময় শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এই সময় কি খাবেন আর কি খাবেন না সেটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যদিও এই রোগের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললেই দ্রুত সেরে উঠবেন জন্ডিস থেকে।
কীভাবে জন্ডিস হয়?
রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। আমাদের রক্তের লোহিত কণিকাগুলো একটা সময়ে স্বাভাবিক নিয়মেই ভেঙ্গে গিয়ে বিলিরুবিন তৈরি করে। যা, পরবর্তীতে লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়ে পিত্তরসের সঙ্গে পিত্তনালীর মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে। অন্ত্র থেকে বিলিরুবিন পায়খানার মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। বিলিরুবিনের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যে কোনও অসঙ্গতি দেখা দিলে, রক্তে বিলিরুবিন বেড়ে যায় আর দেখা দেয় জন্ডিস।
জন্ডিসের লক্ষণ কী কী?
শরীরে বিলিরুবিনের মাত্র বেড়ে গেলে বুঝে নিতে হবে লিভার ঠিক নেই। এই সময় দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন। জন্ডিস হলে শরীর দুর্বল হয় এবং হলদে হয়ে যায়। পেটে ব্যথাও হয় এক্ষেত্রে। খাবারে কোনও রুচি থাকে না। গা গোলানো, ক্লান্তিভাব, বমি ইত্যাদি জন্ডিসের লক্ষণ। এছাড়াও জন্ডিস হলে জ্বর হতে পারে। সেই সঙ্গে ঠান্ডা লাগে এবং প্রস্রাব বা পায়খানার রং বদলে যায়। এইসব উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
জন্ডিস থেকে সেরে ওঠার জন্য কী কী করবেন?
জন্ডিস হলে অবশ্যই বেশি পরিমাণে জল খান প্রথমত। প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি খান, প্রোটিন খান। অবশ্যই এড়িয়ে চলুন অ্যালকোহল, ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মেনে চলুন কিছু নিয়ম। বদল আনুন খাবারের তালিকায়। এছাড়া আটা, ময়দা, ভাজাভুজি, শরীর গরম করে এরকম কোনও খাবেন না। জানুন কী কী খাওয়া যায় এই রোগে।
কী কী খাওয়া যাবে?
জল: নিজেকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য, লিভার ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, জল যেন বিশুদ্ধ হয়।
ফল/শাকসবজি: অবশ্যই ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি খাবেন। এতে লিভার যেমন ভাল থাকে, তেমনই শরীরের জন্য উপকারী। ফলের মধ্যে বাতাবি লেবু, মৌসুম্বী লেবু, শশা ইত্যাদি খুবই স্বাস্থ্যকর এই সময়।