কিডনি আমাদের শরীরের একটি খুব ছোট অঙ্গ, কিন্তু সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর কার্যকারিতা সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, প্রতি ৩০ মিনিটে কিডনি শরীরের রক্ত ফিল্টার করতে এবং বর্জ্য পদার্থ, টক্সিন এবং তরল অপসারণ করতে কাজ করে। ভারতে ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
কিডনি সংক্রান্ত রোগের প্রধান কারণ কী?
যখন আপনার উভয় কিডনি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় এবং রক্ত পরিশোধন করতে অক্ষম হয়, তখন দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের সমস্যায় পড়তে হয়। কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করার কারণে, শরীরে তরল এবং বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। যা, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মতো অনেক সমস্যার দিকে পরিচালিত করে। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের কারণে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্থূলতার সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
কিডনির রোগ নীরব ঘাতক
কিডনি রোগকে নীরব ঘাতকও বলা হয়। কারণ, প্রাথমিক পর্যায়ে এর কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। এই সমস্যা ধীরে ধীরে শরীরের ভিতরে বাড়তে থাকে এবং তা বোঝা খুব কঠিন। এই রোগ শনাক্ত করতে, রোগীকে নিয়মিত রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করতে হয়। তাই, আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা নিয়মিত করানো গুরুত্বপূর্ণ, যাতে কিডনি রোগের অগ্রগতি রোধ করা যায়।
কিডনি রোগের লক্ষণ
কিডনি রোগের সমস্যা বাড়লে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। ওজন এবং খিদে কমে যাওয়া, গোড়ালি ফুলে যাওয়া, শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া, ক্লান্তিভাব, প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি, ক্রমাগত মাথা ব্যথা হওয়া ইত্যাদি লক্ষণগুলি ইঙ্গিত দেয় কিডনির রোগের।
অন্যান্য চ্যালেঞ্জ
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের কারণে, রক্তস্বল্পতা, সহজেই সংক্রমণ হওয়া, শরীরে ক্যালসিয়ামের কম মাত্রা, পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের মাত্রা বৃদ্ধির মতো আরও অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
কীভাবে এড়াবেন
কিডনি রোগ এড়াতে কিছু বিষয়ে বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। আপনার রক্ত এবং প্রস্রাব নিয়মিত পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। এর বিপদ প্রতিরোধ করার জন্য, জীবনধারা পরিবর্তন, ওষুধ এবং নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ প্রয়োজন। এর পাশাপাশি, আপনার একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।