ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বর্তমানে বহু মানুষের মধ্যে দেখা যায়। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমতে শুরু করলে, এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। লিভার শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। লিভারের যে কোনও সমস্যা, গোটা শরীরকে প্রভাবিত করে। খাবার হজমের পাশাপাশি এটি আমাদের শরীর থেকে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে। লিভারের সমস্যার কারণে কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ক্যান্সার এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মুখোমুখি হতে হয়।
ফ্যাটি লিভারের দুটি ধরণের রোগ রয়েছে: অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এবং নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার ডিজিজের সমস্যা অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল খাওয়ার কারণে হয়। অন্যদিকে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের সমস্যা হয় স্থূলতা, রক্তে উচ্চ মাত্রার চর্বি, রক্তে শর্করার কারণে। সাধারণত খারাপ লাইফস্টাইলের কারণে এই সমস্যা হয়।
ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ চেনা গুরুত্বপূর্ণ
শুরুতে লিভারের রোগের লক্ষণ দেখা যায় না। লিভার কাজ করা বন্ধ করে দিলে এর লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। এটির লক্ষণগুলি জানাও গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে আপনি সময় মতো লিভারের যে কোনও সমস্যা এড়াতে পারেন।
মুখের লক্ষণ
ফ্যাটি লিভার রোগের কিছু লক্ষণ মুখেও দেখা যায়। ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া,ত্বকের লালভাব, ছোট সুতোর মতো শিরা দৃশ্যমান হওয়া, মুখে লাল, পুঁজ-ভরা ফুসকুড়ি ইত্যাদ্দি এই রোগের লক্ষণ হতে পারে।
মুখে কেন এই লক্ষণগুলি দেখা যায়?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই লক্ষণগুলি দেখা দেয় যখন লিভারের অবনতি শুরু হয়। এটি একটি লক্ষণ যে আপনার শরীর বিভিন্ন ধরণের বর্জ্য পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে। যখন লিভার কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখন বিলিরুবিন (পিত্তের বাদামী-হলুদ রঙ্গক) সঠিকভাবে নির্গত হতে পারে না। শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যেতে পারে, যাকে জন্ডিসও বলা হয়।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
যদি মুখে এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি দেখতে পান, তবে দেরি না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, লিভারের সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেলেই এর লক্ষণ চোখে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, চিকিৎসকে সঙ্গে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
কীভাবে লিভার সুস্থ রাখবেন?
লিভার সুস্থ রাখার জন্য আপনার স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি এবং অ্যালকোহল খেলেও একেবারে সীমিত পরিমাণে খেতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন ব্যায়াম করা জরুরি।