ম্যালেরিয়া একটি মশাবাহিত সংক্রামক রোগ। এই রোগের লক্ষণগুলি হল জ্বর, ক্লান্তি, বমি এবং মাথাব্যথা। গুরুতর ক্ষেত্রে, জন্ডিস, খিঁচুনি, কোমা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সংক্রামিত অ্যানোফিলিস মশা কামড়ানোর ১০ থেকে ১৫ দিন পরে লক্ষণগুলি দেখা দিতে শুরু করে। এই রোগের মূলে রয়েছে প্লাজমোডিয়াম গোত্রের প্রোটিস্টা (এক ধরনের অণুজীব)। প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল, গোটা বিশ্বে পালিত হয় 'বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস'। এর মূল উদ্দেশ্য ম্যালেরিয়া সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
WHO-র মতে, ম্যালেরিয়া বেশিরভাগই সংক্রমিত মহিলা অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে হয়। সাধারণত দুই সপ্তাহের মধ্যে ম্যালেরিয়া সেরে যায়। কিন্তু সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে, তা রোগীর জন্য মারাত্মক হতে পারে। ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে রোগীর খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
ম্যালেরিয়ার লক্ষণ
WHO-এর মতে, সাধারণত সংক্রামিত মশা কামড়ানোর ১০-১৫ দিনের মধ্যে ম্যালেরিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। এর প্রাথমিক উপসর্গ হল ঠাণ্ডায় কাঁপুনি, প্রচণ্ড জ্বর ও মাথা ব্যথা। এ ছাড়া শরীরে ব্যথা,বমি বমি ভাব ইত্যাদিও হতে পারে। তবে কিছু মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে, হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের আগে ম্যালেরিয়া হয়েছে।
ম্যালেরিয়া রোগীর কী খাওয়া উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ম্যালেরিয়া রোগীদের উচ্চ শর্করা, ভিটামিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। ম্যালেরিয়া রোগীর শরীরে জলের অভাব হতে দেওয়া উচিত নয়। দ্রুত সারার জন্য, রোগীর যতটা সম্ভব তরল খাওয়া উচিত। ডাবের জল, আখের রস, তাজা ফলের রস, লেবুর জল, স্যুপ ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। জল পান করার আগে ফুটিয়ে নিন।
উদ্ধারের পদ্ধতি
ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচার প্রথম উপায় হল মশা থেকে দূরে থাকা। চারপাশে যখন অনেক মশা, তখন মশারি ব্যবহার করে ঘুমান। মশা থাকতে পারে এরকম স্থানে হাত- পা ঢাকা জামাকাপড় পরুন। বাড়ির চারপাশে জল জমতে দেবেন না। কারণ জলে মশার বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। ঘরের ভিতরে মশা নিরোধক স্প্রে করুন এবং মশা নিরোধক ব্যবহার করুন।