বেলুনের মতো পেট ছোট হতে শুরু করবে, এভাবে মেথি বীজ খানমেথি বীজ প্রতিটি ভারতীয় রান্নাঘরে একটি সাধারণ মশলা। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, ইউরোপ এবং এশিয়ায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। ভারতে মেথি বীজ সাধারণত মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে এগুলি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করতে পারে। আমেরিকান স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি-র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মেথি বীজ খাওয়া পেটে চিনির শোষণকে ধীর করে দেয় এবং ইনসুলিনকে উদ্দীপিত করে। এই দুটি প্রভাব ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়। মেথি টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রাও উন্নত করতে পারে, যার ফলে যৌন জীবন উন্নত হয়।
মেথি বীজ কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে?
আপনি যদি মেথি বীজের সঙ্গে তেল, চর্বি বা চিনিমুক্ত একটি স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্য খান, তাহলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার ওজনের পার্থক্য লক্ষ্য করবেন। মেথি বীজে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, আপনার শরীরকে অতিরিক্ত চর্বি দ্রুত পোড়াতে সাহায্য করে। এর উচ্চ ফাইবার উপাদান এবং গ্যালাক্টোম্যানান, একটি জলে দ্রবণীয় ফাইবার, বিপাক বৃদ্ধি করতে পারে, যা একগুঁয়ে চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। মেথি বীজে ফাইবার থাকে, যা পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি তৈরি করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি ঘন ঘন অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ রোধ করে এবং ক্যালোরি গ্রহণ কম করে।
মেথি বীজের উপকারিতা: মেথি বীজ খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে। পিরিয়ডের সময় মেথি বীজের গুঁড়ো লাগালে মাসিকের ব্যথা থেকে মুক্তি পায়। মেথি বীজের নির্যাস খেলে পুরুষদের যৌন ক্ষমতা এবং আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। মেথিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমে সাহায্য করে এবং বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি চুলের বৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে, চুলের গোড়া শক্তিশালী করতে, খুশকি প্রতিরোধ করতে এবং মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে পারে। ডায়াবেটিস, পিরিয়ডের ব্যথা এবং যৌন-সম্পর্কিত সমস্যার জন্য মানুষ সাধারণত মেথি খেয়ে থাকে।
ওজন কমানোর জন্য মেথি বীজ খাওয়ার উপায়
মেথি জল: এক টেবিল চামচ মেথি বীজ সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে ছেঁকে নেওয়া জল খান।
মেথি চা: এক চা চামচ মেথি বীজ কয়েক মিনিটের জন্য জলে ফুটিয়ে নিন, তারপর ছেঁকে নিন এবং খালি পেটে পান করুন।
মেথি গুঁড়ো: ভাজা মেথি বীজ থেকে গুঁড়ো তৈরি করুন এবং সংরক্ষণ করুন। তারপর, প্রতিদিন এক চা চামচ গুঁড়ো সবজি, মসুর ডাল, স্যুপ বা সালাদে যোগ করুন।