যাঁদের হাত-পা ফেটে যায় বা গোড়ালি ফাটার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য সর্ষের তেল খুবই উপকারী।শীত এলেই ত্বকের নানা সমস্যা মাথাচাড়া দেয়। ঠান্ডা হাওয়া, কম আর্দ্রতা আর রোদে ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ ও শুষ্ক। অনেকেই এই সময় দামি ক্রিম, বডি লোশন বা বিদেশি অয়েলের উপর ভরসা করেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে ত্বকের যত্নে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর সমাধান হতে পারে আমাদের ঘরোয়া সর্ষের তেল।
সর্ষের তেল শুধু রান্নাঘরের উপকরণ নয়, ত্বকের যত্নেও এর ভূমিকা বহু পুরনো। আয়ুর্বেদে সর্ষের তেলকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ধরা হয়। এতে থাকা ভিটামিন ই, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি দেয়।
শীতকালে নিয়মিত সর্ষের তেল মাখলে ত্বকের শুষ্কতা অনেকটাই কমে। বিশেষ করে যাঁদের হাত-পা ফেটে যায় বা গোড়ালি ফাটার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য সর্ষের তেল খুবই উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য গরম করে পায়ে ও হাতে সর্ষের তেল মেখে নিলে সকালে ত্বক নরম থাকে।
শুধু শরীর নয়, মুখের ত্বকেও সীমিত পরিমাণে সর্ষের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সরাসরি মুখে লাগানোর আগে প্যাচ টেস্ট করা জরুরি। কারণ কারও কারও ত্বক সংবেদনশীল হতে পারে। অল্প কয়েক ফোঁটা সর্ষের তেল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে।
শীতে অনেকের ঠোঁট ফেটে যায়। এই সমস্যাতেও সর্ষের তেল কার্যকর। রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে সামান্য সর্ষের তেল লাগালে ফাটা ঠোঁট দ্রুত সেরে ওঠে।
ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও সর্ষের তেলের ভূমিকা রয়েছে। শীতে স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে খুশকির সমস্যা বাড়ে। সপ্তাহে এক-দু’দিন সর্ষের তেল হালকা গরম করে মাথায় মালিশ করলে স্ক্যাল্প আর্দ্র থাকে এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়।
সব মিলিয়ে, শীতে দামি ক্রিম বা কেমিক্যাল-ভরা প্রোডাক্ট ছেড়ে প্রাকৃতিক সর্ষের তেল ব্যবহার করলে ত্বক ও চুল দু’টিরই উপকার পাওয়া যায়। সহজলভ্য, সস্তা এবং কার্যকর—এই তিন গুণেই সর্ষের তেল শীতের সেরা সঙ্গী।