টেস্টোস্টেরন হরমোন শুধুমাত্র যৌনতার স্বাস্থ্যের জন্য় গুরুত্বপূর্ণ ভাবলে ভুল করবেন। পুরুষদের শরীরে আরও নানা ভূমিকা পালন করে এই হরমোন। এটি শরীরের শক্তি, পেশী গঠন, হাড়ের ঘনত্ব এবং যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়। সঠিক জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবেই টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ানো সম্ভব।
শরীরের পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ভালো ঘুম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ঘুমের অভাবে শরীরে কর্টিসল হরমোন বেড়ে যায়, যা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
ওজন তোলা ও কম সময়ে প্রচুর দৌড়ঝাঁপের ব্যায়াম (HIIT) টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর অন্যতম সেরা উপায়। পেশী গঠনের মাধ্যমে শরীরের টেস্টোস্টেরন উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
সুষম খাদ্যাভ্যাস হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। দেহে জিঙ্ক এবং ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়। তাই ডিম, বাদাম, দই, সবুজ শাকসবজি, এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
স্ট্রেস টেস্টোস্টেরনের সবচেয়ে বড় শত্রু। দীর্ঘ দিন স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে কর্টিসল বেড়ে যায়। এটি শরীরের হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে। ধ্যান, যোগব্যায়াম, বা যে কোনও রিল্যাক্সেশন টেকনিক স্ট্রেস কমাতে সহায়ক। নিয়মিত জগিং করলেও স্ট্রেস কমে।
অতিরিক্ত ওজন শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও ধূমপান শরীরের টেস্টোস্টেরন উৎপাদন বাধাগ্রস্ত করে। ত্যাগ কর
ভিটামিন ডি শরীরে টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট সূর্যের আলোতে সময় কাটান।
সুস্থ জীবনযাপন এবং সঠিক অভ্যাসের মাধ্যমে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ানো সহজ। তবে অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।