
কথায় বলে 'মাছে-ভাতে বাঙালি'। মাছের প্রতি বাঙালির ভালোবাসার কথা প্রায় সকলের জানা। ছোট- বড় টাটকা মাছ বাজার থেকে কেনার জন্য ভিড় জমে সকাল - সন্ধ্যে। বিশেষত উৎসবের আগের দিনগুলিতে মাছের দোকানে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। এরকমই এক জনপ্রিয় মাছের নাম পাবদা।
পাবদা একটি উচ্চমূল্যযুক্ত, অত্যন্ত সুস্বাদু জনপ্রিয় মাছ। এই মাছটির অতুলনীয় স্বাদ-গন্ধ এবং স্বল্প কাঁটাযুক্ত হওয়ায় বিশেষভাবে সমাদৃত ও বাজারে এর চাহিদা অপরিসীম। পাবদা মাছ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের নদী, পুকুর এবং হ্রদের মতো মিষ্টি জলে পাওয়া যায়। এই মাছ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। জানুন গুণাগুণ।
পাবদা মাছের পুষ্টিগুণ
পাবদা মাছের জলীয় অংশ ৭৫.০ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ১.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১১০ মিলিগ্রাম, প্রোটিন বা আমিষ ১৮.১ গ্রাম, চর্বি ২.৪ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৩.১ গ্রাম, ভিটামিন সি ১৫ মিলিগ্রাম, লোহ বা আয়রন ১.০ মিলিগ্রাম, এনার্জি ১০৬ কিলোক্যালারি।
পাবদা মাছের উপকারিতা
* পাবদা মাছ সহজ পাচ্য।
* এই মাছে স্নেহ পদার্থ কম থাকে।
* নরম কাঁটা যুক্ত এই মাছ, প্রচুর ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে।
* পাবদা মাছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও আয়োডিন থাকে।
* এতে প্রচুর চর্বি থাকে। এজন্যে এই মাছের ক্যালোরি মূল্য অনেক বেশি।
* আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণে আমিষের প্রয়োজন হয়। যার অধিকাংশ আমরা পাবদা মাছ থেকে পেতে পারি। পাবদা মাছে আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও লৌহ।
* এই মাছে থাকা প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের দাঁত এবং হাড় গঠনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
* পাবদা মাছ আমাদের শারীরিক দুর্বলতা দূর করে থাকে।
* এছাড়াও হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে, দৈহিক গঠনে সাহায্য করে থাকে।
* পাবদা মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ,প্রোটিন ,ভিটামিন B১২, আয়রন ও জিঙ্কে সমৃদ্ধ
* এই মাছ পেশী টিস্যু তৈরি ও মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়।