জীবনযাত্রা, স্ট্রেস, দূষণ ইত্যাদি নানা কারণে বর্তমান পিরিয়ডসের নানা সমস্যায় ভুগছেন বহু মহিলারা। এই সমস্যা মূলত দেখা যায় ১৮ থেকে ৩৮ বছর বয়সীদের মধ্যে। কেউ ভুগছেন অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যায়, তো কারও আবার দেখা দিচ্ছে অতিরিক্ত রক্তপাত। এর মধ্যে বর্তমানে বহু মহিলা ভোগেন পলিসিস্টিক ওভারি ডিসঅর্ডার (Polycystic Ovary Disorder/ PCOD) বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (Polycystic Ovary Syndrome/ PCOS)। গত কয়েক বছরে নারীদের মধ্যে এই সমস্যা দ্রুত বেড়েছে।
এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, অনিয়মিত মাসিক চক্র এবং ডিম্বাশয়ে একাধিক ছোট সিস্টের উপস্থিতির জন্য হয়। যদিও PCOD-এর চিকিৎসার জন্য জীবনধারা পরিবর্তনের প্রয়োজন, তবে দৈনন্দিন রুটিনে যোগব্যায়াম সহ বেশ কিছু উপকারী জিনিস অন্তর্ভুক্ত করলে, দারুণ উপকার মিলতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারি ডিসঅর্ডার-এর প্রতিকার
পলিসিস্টিক ওভারি ডিসঅর্ডার এমন একটি গুরুতর হরমোন সমস্যা, যার কারণে মহিলারা গর্ভাবস্থায় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এই সমস্যা হলে, মহিলাদের শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হরমোন তৈরি করে। হরমোনের এই ভারসাম্যহীনতা অনিয়মিত ডিম্বস্ফোটনের দিকে পরিচালিত করে যা, পিরিয়ডকে অনিয়মিত করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন, এর জন্য তাদের খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নিতে হবে।
কুমড়োর বীজ
পিসিওএস-র ক্ষেত্রে কুমড়োর বীজ খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়। কুমড়োর বীজকে বলা হয় পুষ্টির পাওয়ার হাউস। পিসিওএসের ক্ষেত্রে কুমড়োর বীজ খুবই উপকারী। এই বীজ মহিলাদের শরীরে হরমোনের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কুমড়োর বীজ চুল পড়া কমায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ম্যাগনেসিয়ামের খুব ভাল উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
কুমড়োর বীজ ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। এগুলি হাড়ের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয় এবং এটি ট্রিপটোফ্যানের একটি প্রাকৃতিক উৎস যা ঘুমের ধরণকে উন্নত করে৷ PCOS-এ আক্রান্ত মহিলাদের অবশ্যই তাদের খাদ্যতালিকায় এক চামচ কুমড়োর বীজ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। স্যুপ, স্মুদি বা স্ন্যাক্সে এটি যোগ করে খেতে পারেন।