Period Pain Relief Tips: পিরিয়ডের সময় মহিলাদের ক্লান্তি বোধ করা সাধারণ ব্যাপার। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। পিরিয়ডের সময় রক্তপাত হলে শরীরে আয়রনের মাত্রা কমে যায়, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি হতে পারে, যার ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে, অক্সিজেন সঠিকভাবে প্রেরণ করা যায় না, যার কারণে ক্লান্তি অনুভূত হয়। অতএব, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা এবং পিরিয়ডের সময় মানসিক চাপ কমানো গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে, আপনি আপনার জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন করে ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে পারেন।
এসব কারণে পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ক্লান্তি দেখা দেয়:
• হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি: মাসিকের সময় রক্তপাত হয়, যা শরীরে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে। এর ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়, যা আরও ক্লান্ত বোধ করে।
• হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: পিরিয়ডের সময়, ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মতো হরমোনের মাত্রায় পরিবর্তন হয়। এটি ঘুমের ধরণ, মেজাজের পরিবর্তন এবং ক্লান্ত বোধ করতে পারে।
• ব্যথা ও ফোলা: অনেক নারীরই পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া এবং পিঠে ব্যথার সমস্যা থাকে। এ কারণে বিশ্রামের প্রয়োজন বেশি হয় এবং ক্লান্তি বাড়ে।
• মানসিক চাপ: পিরিয়ডের সময়, অনেক মহিলাই উদ্বিগ্ন এবং চাপ অনুভব করেন। মানসিক ও মানসিক সমস্যাও ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
জেনে নিন এর সমাধান:
সুষম খাদ্য: আয়রন এবং ভিটামিন B12 সমৃদ্ধ খাবার খান। পালং শাক, বীটরুট, কাউপিয়া, আখরোট এবং অন্যান্য সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এই সবজি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হয় না।
জল পান করুন: হাইড্রেটেড থাকা শরীরের ক্লান্তি হ্রাস করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করতে হবে। শরীরে তরলের অভাব হতে পারে, যার কারণে একজন ক্লান্ত বোধ করেন। এই ক্লান্তি শারীরিক এবং মানসিক উভয়ই হতে পারে। জল পান শরীরের উপাদানের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং শরীরের শক্তি বজায় রাখে। অতএব, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতে ক্লান্তি হ্রাস পায়।
ব্যায়াম: হালকা এবং নিয়মিত ব্যায়াম, যেমন যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং, ক্লান্তি কমাতে পারে। ব্যায়াম শরীরকে এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে, যা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক। এই এন্ডোরফিন মাসিকের ব্যথা এবং ক্র্যাম্প কমায়।
ভাল ঘুম: ভাল এবং পরিপূর্ণ ঘুম পাওয়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শরীরকে বিশ্রাম এবং শক্তির জন্য সময় দেয়। পিরিয়ডের সময় হরমোনের পরিবর্তন ঘটে, যার কারণে শারীরিক ও মানসিক চাপ অনুভব করা যায়। ভালো ঘুম হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। পিরিয়ডের সময় মহিলাদের প্রায়ই পেটে ব্যথা এবং ক্র্যাম্প হয়। ভাল ঘুম শরীরকে বিশ্রামে সাহায্য করে এবং ব্যথা এবং ক্র্যাম্পের তীব্রতা কমাতে পারে।
মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন: ধ্যান এবং যোগব্যায়ামের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক চাপ কমানো যায়। এগুলো স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখতে এবং ধীরে ধীরে চাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, আপনি গান শুনতে পারেন বা আপনার পছন্দের কিছু কাজে নিয়োজিত হতে পারেন।
ক্যাফিন খাওয়া হ্রাস করুন: অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ ক্লান্তি এবং চাপ সৃষ্টি করতে পারে। পিরিয়ডের সময় ক্যাফেইন গ্রহণ কমাতে হবে। ক্যাফিন মহিলাদের মধ্যে প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোমের (PMS) উপসর্গ বাড়াতে পারে এবং অন্যান্য সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।