Quick Pimple Cure Tips: ব্রণ, এই এক সমস্যায় আজকাল ভুগছেন প্রায় প্রত্যেকেই। ঠিক যখন কোনও অনুষ্ঠান, আড্ডা বা বাইরে বেরোনোর পরিকল্পনা থাকে, তার আগের দিনই দেখা দেয় এই অবাঞ্ছিত অতিথি। মুখে লালচে ফুলে ওঠা ছোট ছোট ব্রণ, যা শুধু সৌন্দর্যই নষ্ট করে না, অস্বস্তিও বাড়ায়।
চিকিৎসকরা বলেন, নিয়মিত যত্নই পারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে। টাটকা সব্জি, কম তেল–চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, দিনে অন্তত আট গ্লাস জল পান, রোদে না যাওয়া, মুখ পরিষ্কার রাখা এবং দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা।এই কয়েকটি অভ্যাসেই অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ব্রণ। প্রসাধনী বা মেকআপ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও চাই সতর্কতা। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ব্রণ কখও নখ দিয়ে ফাটাবেন না। তাতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে এবং মুখে দাগও থেকে যায়।
তবে যদি হঠাৎ করেই মুখে ব্রণ দেখা দেয়, চিন্তা করবেন না। কয়েকটি ঘরোয়া উপায়েই তা অনেকটা কমিয়ে আনা যায়। নিয়মিত যত্ন আর সঠিক পদ্ধতি মেনে চললেই ব্রণকে রাতারাতি দূর করা সম্ভব। আর তাতেই ফেরত আসবে আপনার মুখের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও আত্মবিশ্বাস।
বরফের কিউবের ম্যাজিক
এক টুকরো বরফেই শান্ত করা যায় ব্রণর প্রদাহ। দিনে চার–পাঁচবার, কয়েক মিনিট অন্তর বরফের কিউবটি হালকা হাতে ব্রণের ওপর ঘষে নিন। ঠান্ডা স্পর্শে ফোলাভাব ও লালচেভাব কমে আসবে, আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরিবর্তন টের পাবেন।
স্পট ক্রিমের সাহায্যে
বাজারে পাওয়া যায় এমন নানা স্পট ক্রিমে থাকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও বেনজয়েল পারঅক্সাইড। এই উপাদানগুলি মৃত কোষ দূর করে, ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এবং মুখের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। রাতে ঘুমানোর আগে লাগালে সকালে ফল দেখা যায়।
মধু ও অ্যালোভেরার জুটি
প্রাকৃতিক নিরাময়ের এক অসাধারণ সংমিশ্রণ এই দুইয়ের মিশ্রণ। মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ আর অ্যালোভেরার ঠান্ডা প্রভাব ব্রণের লালচেভাব ও ব্যথা কমিয়ে দেয়। দিনে দুই–তিনবার লাগান, কয়েকদিনেই মিলবে ফল।
টি ট্রি অয়েল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সুরক্ষা
টি ট্রি অয়েল হল প্রকৃতির অ্যান্টিবায়োটিক। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ব্রণ শুকোতে সাহায্য করে। দিনে কয়েকবার তুলোয় ভিজিয়ে লাগিয়ে নিন। তবে ত্বক যদি খুবই তৈলাক্ত হয়, তাহলে এটি এড়িয়ে চলাই ভালো।