scorecardresearch
 

Rectal Cancer: প্রায়ই জ্বর-সর্দি-কাশি ভোগাচ্ছে? সাবধান, রেকটাল ক্যান্সারের লক্ষণগুলিও এমনই!

Rectal Cancer: সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো সাধারণ লক্ষণের আড়ালে শরীরে বাসা বাঁধে রেকটাল ক্যান্সার। এর লক্ষণগুলিকে সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা ভেবে ভুল করলেই বিপদ! রোজ একটা সামান্য খাবার খেলেই এই ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব...

Advertisement
প্রায়ই জ্বর-সর্দি-কাশি ভোগাচ্ছে? সাবধান, রেকটাল ক্যান্সারের লক্ষণগুলিও এমনই! প্রায়ই জ্বর-সর্দি-কাশি ভোগাচ্ছে? সাবধান, রেকটাল ক্যান্সারের লক্ষণগুলিও এমনই!
হাইলাইটস
  • সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো সাধারণ লক্ষণের আড়ালে শরীরে বাসা বাঁধে রেকটাল ক্যান্সার।
  • এর লক্ষণগুলিকে সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা ভেবে ভুল করলেই বিপদ!

Rectal Cancer: আমাদের শরীরে কোষের ক্রমাগত বিভাজন হয় আর এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যার উপর শরীরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু যখন শরীরের কোনও নির্দিষ্ট অংশের কোষ স্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে, তখন তাকে ক্যান্সার বলে। আপনার যদি ক্যান্সার হয় তবে এর অর্থ হল আপনার শরীরের কিছু কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ক্যান্সারের বেশ কিছু লক্ষণ খুবই সাধারণ শারীরিক সমস্যা সর্দি কাশি জ্বরের মতো হয়। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ এই সব সমস্যাকে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। আর সাধারণ লক্ষণের আড়ালেই শরীরে বাড়তে থাকে প্রাণঘাতী ক্যান্সার। ঠিক এমনই সাধারণ লক্ষণের আড়ালে শরীরে বাসা বাঁধে রেকটাল ক্যান্সার। এর লক্ষণগুলিকে সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা ভেবে ভুল করলেই বিপদ!

রেকটাল ক্যান্সারের লক্ষণ:
বিশেষজ্ঞ আর ভুক্তভোগীরা জানান, অনেক ক্ষেত্রেই রেকটাল ক্যান্সারের সূত্রপাত জ্বর আর সর্দির মতো সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা দিয়ে। তবে রেকটাল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায়সই সর্দি কাশি জ্বরে ভোগেন। এর পরই পিঠে ব্যথা, কোমরে ব্যথা শুরু হয়। এছাড়া, রেকটাল ক্যান্সারে মলের সঙ্গে রক্তপাত, অন্ত্রের অভ্যাস পরিবর্তন, মলের অস্বাভাবিক আকৃতি, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যাওয়া, বারবার ডায়রিয়া পেটে গ্যাস পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন

সম্প্রতি রেকটাল ক্যান্সার নিয়ে একটি গবেষণার রিপোর্ট সামনে এসেছে। যেটিতে বলা হয়েছে কীভাবে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে এই রেকটাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো যায়। এই গবেষণা অনুযায়ী, আপনি যদি সপ্তাহে তিন বা তার বেশি মাছ খান, তাহলে মলদ্বার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

এ বিষয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি আর ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের (IARC) গবেষকরা ৪৭৬,১৬০ জনের খাদ্যাভ্যাস পরীক্ষা করেছে। ওই গবেষণার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে ৩৫৯.১ গ্রাম যে কোনও মাছ খেলে মলদ্বার ক্যান্সারের ঝুঁকি ১২ শতাংশ কমে যায় যা এক সপ্তাহে ৬৩.৪৯ গ্রামের কম খাওয়ার তুলনায়। এদিকে, যারা সপ্তাহে মাত্র ১২৩.৯ গ্রাম তৈলাক্ত মাছ যেমন স্যামন আর সার্ডিন খেয়েছেন তাদের রেকটাল ক্যান্সারের ঝুঁকি ১০ শতাংশ কম। এই গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে গবেষকরা স্পষ্ট করেছেন যে, দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় মাছের অন্তর্ভুক্তি মলদ্বার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস করে। তাই এটিকে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।

Advertisement

Advertisement