Sabja Seeds: সব্জার বীজ খেয়েছেন কোনওদিন? ৪ দুর্দান্ত উপাকার, নিয়মটা জানুন

সব্জার বীজ বা তুলসী বীজ, যাকে ইংরেজিতে বেসিল সিডস বলা হয়, শরীরের জন্য একটি অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ। আয়ুর্বেদ এবং প্রাচীন চীনা চিকিৎসাশাস্ত্রে এই বীজের ব্যবহার বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। আধুনিক বিজ্ঞানও এখন এই বীজের উপকারিতা স্বীকার করে নিচ্ছে।

Advertisement
সব্জার বীজ  খেয়েছেন কোনওদিন? ৪ দুর্দান্ত উপাকার, নিয়মটা জানুন
হাইলাইটস
  • সব্জার বীজ বা তুলসী বীজ, যাকে ইংরেজিতে বেসিল সিডস বলা হয়, শরীরের জন্য একটি অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ।
  • আয়ুর্বেদ এবং প্রাচীন চীনা চিকিৎসাশাস্ত্রে এই বীজের ব্যবহার বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে।

সব্জার বীজ বা তুলসী বীজ, যাকে ইংরেজিতে বেসিল সিডস বলা হয়, শরীরের জন্য একটি অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ। আয়ুর্বেদ এবং প্রাচীন চীনা চিকিৎসাশাস্ত্রে এই বীজের ব্যবহার বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। আধুনিক বিজ্ঞানও এখন এই বীজের উপকারিতা স্বীকার করে নিচ্ছে।

সম্প্রতি হেলথলাইনের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, মাত্র ১ টেবিল চামচ (১৩ গ্রাম) সব্জার বীজে দৈনন্দিন ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনের ১৫ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়ামের ১০ শতাংশ এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আয়রন থাকে। এই তিনটি খনিজ আমাদের হাড়, পেশী এবং রক্তকণিকার সঠিক কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত সব্জার বীজ খেলে শরীরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচে উল্লেখ করা হল এমনই চারটি উপকারিতা:

১. ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করে
বর্তমানে অনেক মানুষই ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতিতে ভুগছেন। বিশেষত যারা নিরামিষভোজী বা দুগ্ধজাত খাবার খান না, তাদের জন্য সব্জার বীজ হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটি হাড় মজবুত করে ও পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

২. অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে
সব্জার বীজে থাকে পেকটিন নামক একটি দ্রবণীয় ফাইবার, যা একটি প্রাকৃতিক প্রিবায়োটিক। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্টি জোগায় এবং হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। পাশাপাশি, এটি অন্ত্রে প্রদাহ কমাতেও কার্যকর।

৩. ওজন কমাতে সহায়ক
এই বীজ জলে ভিজিয়ে খেলে এটি ফুলে ওঠে এবং পেট ভর্তি অনুভব হয়। ফলে ক্ষুধা অনেকটাই কমে যায়। যারা ওজন কমাতে চান, তারা এটি খেতে পারেন একটি প্রাকৃতিক অ্যাপেটাইট সাপ্রেসেন্ট হিসেবে।

৪. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
সব্জার বীজে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকায় এটি কার্বোহাইড্রেট শোষণের গতি কমায়। এর ফলে রক্তে শর্করার হঠাৎ উত্থান রোধ হয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

 

POST A COMMENT
Advertisement