ঘুম আমাদের জন্য জল এবং খাবারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেরই পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। তবে আপনি কি জানেন, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর অসুস্থ হতে পারে? ঘুমের সময় আমাদের শরীর নিজেকে সুস্থ করে তোলে এবং মেরামত করে। কিছু ছোট অভ্যাস ঘুমের মান উন্নত করতে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানের বিখ্যাত অধ্যাপক এবং 'হোয়াই উই স্লিপ'বইটির লেখক ডঃ ম্যাথিউ ওয়াকার আঘুম উন্নত করার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এই ঘুম-সম্পর্কিত কৌশলগুলি গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং যাদের ঘুমের সমস্যা আছে, তাদের সাহায্য করতে পারে।
ঘুম না আসলে বিছানা থেকে উঠুন
ডঃ ওয়াকার সবচেয়ে কার্যকর যে পরামর্শর উপর জোর দেন, তা হল আপনি যদি আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেগে থাকেন, তাহলে বিছানা থেকে উঠে যান। বিছানা থেকে উঠে অন্য ঘরে গিয়ে, বই পড়ুন বা পডকাস্ট শুনুন। তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবাণী দিয়েছেন, এই সময়ে খাবার খাবেন না বা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না, কারণ এটি আপনার মস্তিষ্ককে জেগে থাকতে বাধ্য করে।
মনকে শান্ত করার জন্য ধ্যান করুন
যদি মাঝ রাতে বিছানা থেকে ওঠা আপনার কাছে বিরক্তিকর হয়, তাহলে ডঃ ওয়াকার ধ্যানকে একটি শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে বলেছেন।
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম
ঘুমের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ডঃ ওয়াকার বলেন, মস্তিষ্ক একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী চায়। এটি নিয়মিত পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ভাল কাজ করে। তাই রোজ একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার ও ঘুমতে যাওয়ার অভ্যাস করুন।
ঘুমনোর আগে ঘর অন্ধকার
ভালো ঘুমের জন্য অন্ধকার অপরিহার্য। ডক্টর ওয়াকার বলেন, ঘুমনোর আগে শেষ এক ঘণ্টা ঘরের অর্ধেক বা তিন-চতুর্থাংশ আলো নিভিয়ে দিন। এই অন্ধকার ঘুমের ক্ষেত্রে কতটা সাহায্য করবে, তা জানলে অবাক হবেন।
শোবার ঘর ঠান্ডা রাখুন
ঠান্ডা পরিবেশ ঘুমের উন্নতি করে। ঘুমানোর আগে ঘরের তাপমাত্রা প্রায় ১৮ থেকে ১৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। তিনি বলেন, ঘুমিয়ে পড়ার জন্য এবং ঘুমিয়ে থাকার জন্য আপনার শরীর এবং মস্তিষ্কের তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কমাতে হবে।
ঘুমনোর আগে অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
ঘুমনোর আগে অ্যালকোহল গ্রহণের বিরুদ্ধে সতর্ক করেন চিকিৎসক। তিনি বলেন, অ্যালকোহলের জন্য ঘুম নষ্ট হতে পারে। এটি ঘুমের মানকে ব্যাপকভাবে খারাপ করে।