ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার পরামর্শ দেন প্রায় সকল পুষ্টিবিদ। ড্রাই ফ্রুটস তাজা ফল থেকে তৈরি করা হয়। ড্রাই ফ্রুটস প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং এই সমস্ত পুষ্টি শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পুষ্টি উপাদানগুলি শরীরকে পুষ্ট করে এবং অনেক রোগ থেকেও রক্ষা করে। ড্রাই ফ্রুটসের দাম আর পুষ্টিগুণ দুটোই সব সময় বেশি। তবে এমন একটি ড্রাই ফ্রুট রয়েছে যেটির দাম খুবই কম এবং উপকারিতা অনেক বেশি।
এই ড্রাই ফ্রুটটির নাম কিশমিশ। এটি ভিটামিন ই, সি, কে, বি-তে সমৃদ্ধ। এছাড়াও কিশমিশে আয়রন, বি-কমপ্লেক্স সহ অনেক প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা, শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কিশমিশ দ্রবণীয় ফাইবারের একটি ভাল উৎস যা হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা কমায়। কিশমিশ আয়রনের ঘাটতি দূর করে। এটি দাঁত ও হাড়কেও মজবুত করে। কিশমিশে পাওয়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে যা, বার্ধক্য বাড়াতে পরিচিত। অর্থাৎ নিয়মিত খেলে বার্ধক্যকে দূরে থাকে।
পায়েস, পোলাওতেও যোগ করা হয় কিশমিশ। সাধারণত, সকালবেলা খালি পেটে ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিশমিশের সম্পূর্ণ উপকার পেতে হলে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে, অনন্ত পাঁচ থেকে ছয়টি কিশমিশ খেতে হবে। ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ আপনার শরীরের জন্য বেশি উপকারী। আগের দিন রাতে জলে ড্রাই ফ্রুটস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেটা খালি পেটে খান। এতে ড্রাই ফ্রুটসের পুষ্টিগুণ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
তবে কোনও কিছুই কম বা বেশি খাওয়া ঠিক নয়। আপনার শরীরের জন্য কতটা কিশমিশ খাওয়া উপকারী, তা জানতে পরামর্শ করুন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে।