পালং শাক (Spinach) নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। অতি পরিচিত... বাঙালির শীতকালের একটা অংশ বলা যেতে পারে। পালং শাকের চচ্চড়ি, লাবড়া খেতে দারুণ। আবার এগুলি শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারে ভরপুর। পালং শাক খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই শীতের খাদ্যতালিকায় পালং শাক রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসুন পালং শাকের উপকারিতার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক-
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি সর্দি, কাশি এবং সাধারণ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
পালং শাকে ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলি হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে কার্যকরী।
পালং শাক বেটা ক্যারোটিন এবং লুটেইন-এ ভরপুর। এই উপাদানগুলি চোখের দৃষ্টি উন্নত করে এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা যেমন ম্যাকুলার ডিজেনারেশন থেকে রক্ষা করে।
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর আয়রন, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার।
পালং শাকের ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়ক।
পালং শাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্টের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে।
পালং শাকে থাকা অ্যালফা-লিপোয়িক অ্যাসিড রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
পালং শাক ক্যালোরিতে কম কিন্তু ফাইবারে বেশি। ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরতি রাখে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
পালং শাক সেদ্ধ করে ভাতের সঙ্গে খাওয়া যায়। এছাড়া, তরকারি, লাবড়া, চচ্চড়ি, পালং পনির, স্যুপ, সালাড বা স্মুদি হিসেবেও খাওয়া যায়। তেলে ভাজা বা অতিরিক্ত মশলা দিয়ে রান্না না করে পালং শাক যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকরভাবে খাওয়ার চেষ্টা করুন। হালকা ভাপিয়ে খেলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। বহুক্ষণ ধরে ফোটালে কিন্তু খাদ্যগুণ নষ্ট হয়।