scorecardresearch
 

Summer Unhealthy Foods: ডায়াবেটিস- ডায়েরিয়া- ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় জেরবার? এসব খাবার গরমে রোগের কারণ

Unhealthy Foods: আম, লিচু, আইসক্রিমের মতো জিনিস মানুষ এই সময়ে বেশি খায়। তবে গ্রীষ্মকালের বিভিন্ন খাবার গরমে কতটা শরীরের ক্ষতি করে তা, হয়তো অনেকরই অজানা।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি

গ্রীষ্মকাল এলেই কিছু খাবার খাওয়ার ইচ্ছা অনেক বেড়ে যায়। আম, লিচু, আইসক্রিমের মতো জিনিস মানুষ এই সময়ে বেশি খায়। তবে গ্রীষ্মকালের বিভিন্ন খাবার গরমে কতটা শরীরের ক্ষতি করে তা, হয়তো অনেকরই অজানা। জানুন কোন কোন খাবারগুলি অতিরিক্ত গরমে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

গ্রিলড মিট - শীত- গ্রীষ্ম- বর্ষা অনেকেই বারবিকিউ সাজানো বেশিরভাগ মানুষেরই শখ। অতিরিক্ত শখ আপনার ক্ষতি করতে পারে। ভাজা মাংস খুব উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা হয়। প্রচন্ড গরমে, উচ্চ তাপে রান্না করা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এমনকী ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।

আইসক্রিম- গরমকালে সব বয়সের মানুষই দারুণ উৎসাহে আইসক্রিম খায়। আইসক্রিমে সর্বাধিক চিনি থাকে যা স্থূলতা এবং ডায়াবেটিস বাড়ায়। আইসক্রিম খুব পছন্দের হলেও এই সময় অল্প অল্প করে খান। বিশেষত রোদে দাঁড়িয়ে বা রোদ থেকে এসেই খাবেন না। 

ড্রাই ফ্রুটস - বাদাম, ডুমুর, কিশমিশ বা খেজুর এবং এপ্রিকট পুষ্টিগুণে ভরপুর কিন্তু গ্রীষ্মের মৌসুমে এগুলো খুব ভেবেচিন্তে খাওয়া উচিত। শুকনো ফলও শরীরকে ভেতর থেকে গরম করে। তাই এই মৌসুমে এগুলো খুব কম খান।

আম- গ্রীষ্মের মৌসুমে আম খেতে খুব কমই কেউ পছন্দ করে না। তবে অতিরিক্ত আম খাওয়াও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। বেশি পরিমাণে আম খেলে পেট খারাপ, ডায়রিয়া বা মাথাব্যথা হতে পারে। অতএব, এটিও সীমিত পরিমাণে খান।

মশলা- এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচের মতো মশলা খাবারের স্বাদ বাড়ায়। এই মশলাগুলির তাপ এত বেশি যে জলশূন্য হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। গ্রীষ্মের মরসুমে খাবার খুব সাধারণ রাখতে হবে।

রেড মিট বা চর্বিযুক্ত মাংস - তাপ বাড়লে রেড মিট বা চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। এই জিনিসগুলো খুব দ্রুত মেদ বাড়ায়। ক্রমাগত এগুলি খেলে অতিরিক্ত ওজন বাড়ে এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়তে পারে।

Advertisement

খুব বেশি চা বা কফি - বেশিরভাগ লোকের দিন শুরু হয় সকালে এক কাপ চা বা কফি দিয়ে। আপনারও যদি এই অভ্যাস থাকে, তাহলে তা পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। গ্রীষ্মের মরসুমে কফি ও চা জলশূন্যতা বাড়ায়। সে জায়গায় গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

দুগ্ধজাত পণ্য - আপনি খুব বেশি ঠাণ্ডা মিল্কশেক পান করলেও আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। গ্রীষ্মের মৌসুমে দুগ্ধজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। এই মৌসুমে শরীরের তাপের কারণে দুধ, মাখন বা পনির হজমে অসুবিধা হয়।

অ্যালকোহল - গ্রীষ্মে, অনেকে ঠাণ্ডা ওয়াইন বা বরফ ভর্তি ককটেল পান করতে পছন্দ করেন। এসব জিনিস শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং জলশূন্যতা সৃষ্টি করে। জলশূন্যতার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

ডিপ ফ্রাই - তৈলাক্ত খাবার, জাঙ্ক ফুড, ভাজা এবং গ্রেভি আইটেম অস্বাস্থ্যকর কিন্তু গরমে এগুলো বেশি ক্ষতি করে। এগুলো শরীরের ভেতর থেকে তাপ উৎপন্ন করে। যার কারণে মুখে ব্রণ দেখা দিতে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে থাকে।
 

Advertisement