বছর শেষ হতে আর মাত্র ক'টা দিন। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতের দাপট। এমন মরশুমে মদের গ্লাসে চুমুক দিচ্ছেন কি? এই সময় উৎসবের মরশুম। হয় বিয়েবাড়ি, নয়তো পার্টি! আর সেখানে মদ্যপানের আসর ঠিক বসেই। এমন মরশুমে আপনি কি রোজই মদ্যপান করছেন? স্বাভাবিক পরিমাণের থেকে কি আজকাল একটু বেশিই মদ্যপান করছেন আপনি? সাবধান, মত্ত হয়ে যাচ্ছেন না তো? বুঝবেন কী ভাবে যে আপনি ধীরে ধীরে মদ্যপ হয়ে যাচ্ছেন? তারই কিছু লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হল এখানে।
যদি দেখেন, আপনি একটু বেশিই মদ্যপান করার ব্যাপারে আসক্ত হচ্ছেন, তা হলে বুঝবেন বিপদ ঘনাচ্ছে। যার ফলে আপনার শরীরে ক্ষতি হতে পারে। যখনই এরকম বোধ করবেন, বুঝবেন যে আপনি ক্রমশ মাদকাসক্ত হচ্ছেন। ফলে মদ্য়পানে পরিমাণ কমাতে হবে। অর্থাৎ যাকে বলে কিনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মাদকাসক্ত হওয়ার থেকে রেহাই পেতে এক সপ্তাহে ১৪ ইউনিটের বেশি মদ্যপান করা উচিত নয় কারও। এমনই পরামর্শ দিয়েছে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (আমেরিকা)।
কী ভাবে বুঝবেন আপনি মদ্যপ?
*যদি দেখেন, রোজ মদ্যপান করেন, তা হলে বুঝবেন আপনি মদ্যপ হচ্ছেন ধীরে ধীরে।
* সে সব পার্টিতেই যাচ্ছেন, যেখানে মদ্যপানের ব্যবস্থা রয়েছে।
* দিনের অধিকাংশ সময়েই যদি মদ্যপান করেন।
* অন্য কাউকে মদ্যপান করতে না দেখলে যদি আপনার মন খারাপ হয়।
* স্বাভাবিক পরিমাণের থেকে যদি বেশি মাত্রায় মদ্যপান করেন।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যখন কোনও ব্যক্তি রোজ বেশি মাত্রায় মদ্যপান করেন, তা হলে বুঝতে হবে সেই ব্যক্তি মত্ত হওয়ার দিকে এগোচ্ছেন। মদের উপরই নির্ভর করছে শরীর, এমনটা যদি বোধ করেন কোনও ব্যক্তি, তা হলে বুঝতে হবে মদ ছাড়া ওই ব্যক্তি আর কিছু চান না। যা ক্ষতিকর।
কী কী রোগ হতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মদ্যপ হলে মানুষের শরীরে নানা রোগ বাসা বাধতে পারে। পেটের যন্ত্রণা, অবসাদ, দুশ্চিন্তা, চর্মরোগ, কম ঘুম, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা হতে পারে। শুধু তাই নয়, লিভারের সমস্যাতেও ভুগতে পারেন তাঁরা। এছাড়াও হৃদরোগ, ডায়াবিটিসের মতো সমস্যাও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যাঁরা বেশি মাত্রায় রোজ মদ্যপান করছেন, তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সেই মতো মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললেই এই ধরনের আসক্তি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।