Sleep Tips: দুপুর হতেই চোখ ঢুলুঢুলু? অফিসে টেবিলে বসেও চোখ খুলে রাখতে পারছেন না? সামনে রাজ্যের কাজের পাহাড়? তবু কিছুতেই সামলাতে পারছেন না! আবার বসের সঙ্গে মিটিং, কিন্তু আপনি ঢুলছেন। ইচ্ছে করে নয়, কিন্তু কখনও প্রেজেন্টেশন শুনতে শুনতে চোখ বুজে আসছে। থা বারবার নুয়ে পড়ছে? এই অভিজ্ঞতা প্রায় সকলেরই আছে। অনেকেই ভেবেছেন, হয়তো ভরপেট খাওয়ার জন্যই এমনটা হচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, দুপুরের ঘুমের সঙ্গে খাবারের সম্পর্ক তো আছেই, তবে অনেকের শরীরে নিজস্ব সারকাডিয়ান রিদম এর জন্য দায়ী।
মেটাবলিজম রেট
গবেষকরা বলছেন, দুপুর ১টা থেকে ৩টার মধ্যে শরীরের মেটাবলিজম স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা ধীর হয়ে যায়। মস্তিষ্ক তখন “অ্যাক্টিভ রেস্ট” মোডে প্রবেশ করতে চায়। এর ফলেই চোখ ভারী হয়ে আসে। খাবার না খেলেও এই প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
খাবারের ভূমিকা
খাবারের ভূমিকা যে একেবারেই নেই তা কিন্তু বলা যাবে না। ভরপেট ভাত, তেল মশলা বা অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট শরীরে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায় এবং আবার হঠাৎ কমিয়ে দেয়।এতে ঘুমভাব আরও বেড়ে যায়।দুপুরে অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া হলেও একই সমস্যা হতে পারে। যারা দুপুরে খুব ভারী খাবার খান, তাদের জন্য অলসতা আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়। রুটি বা স্ন্যাক্স খেলে কিছুটা কম ক্লান্তি বা অলসভাব আসে। আবার লাঞ্চটাইমে বাইরে থেকে গরমের মধ্যে ঘুরে এসে অফিসের এসিতে ঢুকলে শরীর হঠাৎ আরামের আমেজে ক্লান্তিভাব নিয়ে আসে। যাতে ঘুম পেতে পারে।
জলের ভূমিকা
শুধু খাবার নয়, জলের অভাবেও দুপুরে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত জল না খেলে রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ কমে যায়, মাথা ভার লাগে এবং ঘুমভাব বেড়ে যায়।