scorecardresearch
 

সাধারণ সর্দিকাশি COVID নয় তো? ডাক্তারের এই ৫ পরামর্শ মানলে সুস্থ থাকবেন

ভ্যাপসা গরমের পর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা হঠাৎ নেমে যাওয়ায় সর্দি, জ্বর, কাশি বাড়ছে। বাইরে ভিজে আসা, এসি ঘরে দীর্ঘক্ষণ থাকা এসব সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঋতু বদলের সময় এমন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা নতুন কিছু নয়। তাপমাত্রার আচমকা পরিবর্তন শরীরকে খাপ খাওয়াতে অসুবিধা দেয়, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। এই সময় সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement
কলকাতায় বাড়ছে সর্দি-কাশি। প্রতীকী ছবি কলকাতায় বাড়ছে সর্দি-কাশি। প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • ভ্যাপসা গরমের পর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা হঠাৎ নেমে যাওয়ায় সর্দি, জ্বর, কাশি বাড়ছে।
  • বাইরে ভিজে আসা, এসি ঘরে দীর্ঘক্ষণ থাকা এসব সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভ্যাপসা গরমের পর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা হঠাৎ নেমে যাওয়ায় সর্দি, জ্বর, কাশি বাড়ছে। বাইরে ভিজে আসা, এসি ঘরে দীর্ঘক্ষণ থাকা এসব সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঋতু বদলের সময় এমন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা নতুন কিছু নয়। তাপমাত্রার আচমকা পরিবর্তন শরীরকে খাপ খাওয়াতে অসুবিধা দেয়, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। এই সময় সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এক দিকে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হলে জল জমে ডেঙ্গি, অন্য দিকে জোলো ঠান্ডা হাওয়ার জেরে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি ও জ্বরের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক দিনে যে ভাবে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া তৈরি হয়েছে, তাতে মাথাচাড়া দেবে ইনফ্লুয়েঞ্জা। ইতিমধ্যেই সর্দি-কাশি, বুকে কফ জমার সমস্যা বাড়তে শুরু করেছে ঘরে ঘরে। চিকিৎসকেদের সতর্কবার্তা, এটিকে উপেক্ষা করলে চলবে না। কারণ, ঠিক সময়ে এই সমস্যার চিকিৎসা না করালে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে শ্বাসযন্ত্রে। তাই বাচ্চা থেকে প্রবীণ, সকলকেই বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। 

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অঞ্জন চৌধুরী বললেন, 'কিছু কোভিডও হচ্ছে, আরও বাড়বে, বাতাসে জলীয় বাষ্প প্রচুর। যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের সাবধানে থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। সবুজ ফল ও সবজি খেতে হবে। ডাক্তার না দেখিয়ে ওষুধ খাওয়া যাবে না। জল বেশি পরিমাণে খেতে হবে।'

আরও পড়ুন

কীভাবে সাবধান থাকবেন? রইল কিছু ঘরোয়া টোটকা
১. অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই: সর্দি-কাশি হলে অ্যান্টিবায়োটিকের বদলে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করুন। কাশি হলে লবঙ্গ বা আদার কুচি মুখে রাখুন। আদার ছোট ছোট টুকরো শুকিয়ে নুন দিয়ে রাখলে কাশি কমাতে সহায়তা করবে।

২. মধুর ব্যবহার করুন: প্রতিদিন ১ চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।

Advertisement

৩. এসি কম ব্যবহার করুন: বৃষ্টিতে ভিজলে জামা খুলে গা মুছে নতুন পোশাক পরুন। রাতে মাথার দিকে জানালা খুলে ঘুমাবেন না। গায়ে হালকা চাদর রাখুন।

৪. স্নানের সময়: খুব ভোরে বা রাতে স্নান করা এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি কমাতে উষ্ণ গরম জল দিয়ে স্নান করুন।

৫. ডাক্তারের পরামর্শ: যদি জ্বর তিন দিনের বেশি থাকে, তাহলে নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান এবং প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করান।


 

Advertisement