চোখ ভাল রাখতে অবশ্যই জেনে রাখুন।শীত পড়তেই বাজারে ঢুকে পড়েছে টাটকা লাল গাজর। সেই গাজর নিয়েই নতুন আলোচনা শুরু করেছেন আচার্য বালকৃষ্ণ। তাঁর দাবি, নিয়মিত গাজরের রস খেলে চোখের স্বাস্থ্য উল্লেখযোগ্য ভাবে ভাল থাকে। বাড়তি স্ক্রিন টাইম, ভুল খাবারদাবি, এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে কম বয়সেই দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে, এই সমস্যার সমাধান নাকি লুকিয়ে রয়েছে গাজরের লাল রসে।
গাজরে থাকা বিটা-ক্যারোটিন শরীরের ভিতরে গিয়ে তৈরি করে ভিটামিন-এ, যা চোখের অন্যতম জরুরি পুষ্টি। আচার্য বালকৃষ্ণ ইনস্টাগ্রামে জানান, গাজরের রস চোখের আলো বাড়াতে সাহায্য করে, পাশাপাশি রতৌন্ধি ও প্রাথমিক পর্যায়ের ছানি পড়া প্রতিরোধেও কার্যকর। ভিটামিন-সি, অ্যাণ্টি-অক্সিড্যান্ট এবং পটাশিয়াম চোখের চারপাশের রক্তনালিকে মজবুত রাখে, কমায় প্রদাহও।
তবে উপকারের পাশাপাশি রয়েছে কিছু সতর্কবার্তাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের গাজরের রস থেকে দূরে থাকাই ভাল। কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি তুলনামূলক বেশি, যা রক্তে শর্করা বাড়াতে পারে। লিভারের সমস্যায় ভোগা, কিডনি স্টোনের রোগী অথবা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, এমন ব্যক্তিদের জন্যও গাজরের রস ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। গাজরে থাকা ভিটামিন-কে অনেক সময় ওষুধের প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে।
এক বছরের কম বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে জুস খাওয়ানো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ডায়রিয়া ও শর্করা স্পাইকের ঝুঁকি থাকার কারণে তাদের গাজরের রস না দেওয়াই নিরাপদ।
আচার্য বালকৃষ্ণের মতে, একেবারে সুস্থ মানুষ সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন, ১৫০-২০০ মিলি গাজরের রস খেতে পারেন। তবে খালি পেটে নয়। আর গাজরের সঙ্গে বিট বা আপেল মেশানো থেকে বিরত থাকাই ভাল, শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।