Vitamin D High Level: শরীরে ভিটামিন ডি (Vitamin D)-এর ঘাটটি বহু মানুষের হয়। বেশিরভাগ ভারতীয়র ভিটামিন ডি-এর কম- বেশি অভাব থাকে শরীরে। যখন কারও শরীরে ভিটামিন ডি অতিরিক্ত পরিমাণে থাকে, তখন তাকে হাইপারভিটামিনোসিস ডি (Hypervitaminosis D) বলা হয়। খুব কম মানুষের হলেও, এটি একটি অত্যন্ত মারাত্মক রোগ।
সাধারণত খাবার এবং সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। যাদের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বেশি, চিকিৎসকরা তাদের ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দেন। অনেক সময় এসব সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধের কারণে শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়। যার কারণে অনেক শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন ডি-এর অভাবের লক্ষণ যেমন বোঝা যায়, সেরকম ভিটামিন ডি-এর আধিক্যের লক্ষণও অনুভূত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কেউ শরীরে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখেন, তবে বুঝতে হবে তার ভিটামিন ডি -এর আধিক্য রয়েছে।
গা বমি ভাব এবং বমি হওয়া
অত্যধিক ভিটামিন ডি থাকলে গা বমিভাব থাকতে এবং বমি হতে পারে। এই লক্ষণগুলি অন্য কোনও রোগেরও হতে পারে। ঘুম কম হওয়া, ভুল খাওয়ার অভ্যাসও এর কারণ হতে পারে, তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের কাছে যান এবং যোগাযোগ করুন।
খিদে না পাওয়া
আপনার যদি খিদে না পায় বা খাওয়ার ইচ্ছে না থাকে, তাহলে ভিটামিন ডি লেভেলের দিকেও নজর রাখা উচিত। কারণ খিদে কমে পাওয়া শরীরে ভিটামিন ডি-এর আধিক্যের লক্ষণ।
ক্যালসিয়াম গঠন
আপনার রক্তে অত্যধিক ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম তৈরি করতে পারে, যাকে হাইপারক্যালসেমিয়া বলা হয়। এর ফলে বমি, দুর্বলতা এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।
কিডনির সমস্যা
ভিটামিন ডি-এর কারণে হাইপারক্যালসেমিয়াও কিডনির ক্ষতি করতে পারে। একজন ব্যক্তির খুব বেশি ভিটামিন ডি থাকলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। কারণ এটি ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়ায়।
হাড়ের সমস্যা
হাড়ের ভাল স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি সঠিক পরিমাণে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু কিছু গবেষণা পরামর্শ দেয় যে, ভিটামিন ভিটামিন ডি -এর আধিক্য হাড় সম্পর্কিত সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।