
বর্তমানে ভিটিলিগো বা শ্বেতি রোগে আক্রান্ত বহু মানুষকে দেখা যায়। যদিও এটি একেবারেই ছোঁয়াচে নয়। যেহেতু চামড়ার রং পরিবর্তন হয়, তাই জীবনের ছন্দটাও যে হঠাৎ কিছুটা পরিবর্তন হয়। ঠিকঠাক চিকিৎসা হলেই সেরে যায় এই রোগ, চিন্তার কোনও কারণ নেই একেবারেই। কী কারণে হয় শ্বেতি? কীভাবে সারতে পারে? রইল খুঁটিনাটি...
কী কারণে হয় শ্বেতি?
শ্বেতি জাতীয় রোগকে বলা হয় 'অটো ইমিউন ডিজিজ।' প্রধান কারণ ম্যালাসেজিয়া ফারফার নামের একধরনের ছত্রাক। শরীরের যেখানে সেখানে আক্রমণ করে এই ছত্রাক। এই ছত্রাক আক্রমণ করলে 'অ্য়াজালাইক অ্য়াসিড' ত্বকের 'পিগমেন্ট' খেয়ে নেয়, ফলে জায়গাটি সাদা হয়ে যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার গোলযোগের জন্য রক্তে এক ধরনের শ্বেত কণিকা টি-লিম্ফোসাইট বেড়ে যায়। এরাই মেলানোসাইট কোষ ধ্বংস করে। ডাক্তারি ভাষায় ত্বকের এই পরিবর্তনকে বলে 'পিটেরেসিস ভার্সিকালার', হতে পারে চুলকানিও।
শরীরের কোথায় দেখা যায়?
সাধারণত মুখ, কনুই, বুকেই প্রথমে শ্বেতী দেখা দেয়। আবার অনেকের চোখ বা নাকের দু'পাশে বা ঠোঁটের কোণ বা উপর দিয়েও শুরু হয়। সারা শরীর জুড়ে যদি এই সমস্যা থাকে, তাহলে এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে বোঝাই না গায়ের রং আসলে কী ছিল।
শ্বেতি কমানোর উপায় কী?
শ্বেতি রোগের চিকিৎসা খুব সহজ, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলেই ঠিক হওয়া সম্ভব। একটু যত্নে ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললেই সেরে যাবে এই রোগ। যদিও সম্পূর্ণ সেরে ওঠা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। শুরু থেকেই পরিচর্যায় থাকতে হবে। পাঞ্চ গ্রাফটিং করে শ্বেতী সরিয়ে ফেলা যায়। যত অল্প বয়সে শ্বেতীর চিকিত্সা করা যায় তত ভাল। ডায়াবেটিস, হাইপার থাইরয়েড যাদের রয়েছে, তাদের শ্বেতী হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।