Walking Tips: দিনে ক'পা হাঁটলে ভাল থাকে শরীর? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের মত

শরীর সুস্থ ও সবল রাখতে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। হৃদরোগ, কোলেস্টেরোল, ডায়বেটিস ঠেকে মুক্তি পেতে দারুণ কাজ দেয় হাঁটার অভ্যাস। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কী ভাবে হাঁটবেন আর কতটা হাঁটবেন? এ নিয়ে একটা গবেষণা হয়েছে। আর সেই গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে বদলে যেতে পারে আপনার সব ধারণা।

Advertisement
দিনে ক'পা হাঁটলে ভাল থাকে শরীর? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের মতএকজন মানুষ হাঁটছে

শরীর সুস্থ ও সবল রাখতে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। হৃদরোগ, কোলেস্টেরোল, ডায়বেটিস ঠেকে মুক্তি পেতে দারুণ কাজ দেয় হাঁটার অভ্যাস। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কী ভাবে হাঁটবেন আর কতটা হাঁটবেন? এ নিয়ে একটা গবেষণা হয়েছে। আর সেই গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে বদলে যেতে পারে আপনার সব ধারণা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রতিদিন ৭০০০ পা হাঁটলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। এতদিন প্রচলিত ছিল প্রতিদিন ১০ হাজার পা হাঁটা অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৭০০০ পা হাঁটাটাই যথেষ্ট। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৭,০০০ পদক্ষেপ হাঁটেন, তাঁদের অকালমৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায় ৪৭ শতাংশ। এছাড়া কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (হৃদরোগ), ডিমেনশিয়া ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও ২৫ থেকে ৩৮ শতাংশ কমে।

শুধু তাই নয়, হাঁটা মানসিক চাপ, উদ্বেগ, এবং বিষণ্নতা কমাতে সহায়ক। এটি মেজাজ উন্নত করতে এবং আত্ম-সম্মান বাড়াতে পারে। হাঁটা একটি চমৎকার ব্যায়াম যা ক্যালোরি পোড়াতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত হাঁটা ভালো ঘুম পেতে সাহায্য করে। হাঁটা শরীরে শক্তি যোগাতে পারে এবং ক্লান্তি কমাতে পারে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৭,০০০–এর বেশি হাঁটলে অতিরিক্ত সুফল মেলে বটে, তবে ধীরে ধীরে লাভের হার কমতে থাকে। তবে আপনি যদি ইতিমধ্যেই সক্রিয় থাকেন এবং নিয়মিত ১০,০০০ পদক্ষেপ হাঁটেন, তা কমানোর প্রয়োজন নেই। ১,৬০,০০০–এরও বেশি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে গবেষণা করা হয়। দেখা যায় প্রতিদিন মাত্র ৪,০০০ পা হাঁটলেও স্বাস্থ্য অনেক ভাল থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে সহজে পালন করা ও দীর্ঘস্থায়ী অভ্যাস হিসেবে গড়ে তোলার দিক থেকে ৭,০০০ পদক্ষেপ ভাল। গবেষণা বলছে ভারতে শারীরিকভাবে পর্যাপ্ত সক্রিয় নয় এমন মানুষের হার ২০০০ সালে ২২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ ভারতীয় প্রতিদিন মাত্র ২,৫০০ থেকে ৩,৫০০ পদক্ষেপ হাঁটেন। সুযোগ থাকলে ৭,০০০ পদক্ষেপ অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।  

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement