উৎসবের মরসুম চলছে। এই সময়ে পরিবার- পরিজনদের সঙ্গে প্রচুর খাইয়া দাওয়া হয় প্রায় সকলের। বছরের এই সময়কালে প্রায় সব বাড়িতে অনেক ধরনের খাবার তৈরি করা হয় এবং মিষ্টিও ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এই ধরনের অনুষ্ঠানে, মিষ্টি এবং তৈলাক্ত জিনিস খাওয়া থেকে নিজেকে আটকাতে পারে না অনেকেই। ফলে ওজন অনেকটা বেড়ে যায় এবং কমানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
আপনিও যদি উৎসবের মরসুম উপভোগ করতে চান, এদিকে ওজন তরতরিয়ে বাড়তে থাকে, তাহলে রইল কিছু টিপস। যার ফলে ওজন একেবারেই বাড়বে না।
শারীরিক ক্রিয়াকলাপ গুরুত্বপূর্ণ - ছুটির দিন এবং উৎসবের সময়কালে ব্যায়াম এবং ওয়ার্কআউট করা খুব কঠিন। তবে কিছুতেই এর সঙ্গে কোনও আপস করা ঠিক নয়। আপনার যদি জিমে যেতে ভাল না লাগে, তাহলে পরিবারের সঙ্গে ফুটবল বা যে কোনও আউটডোর গেম খেলতে পারেন। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন সক্রিয় থাকা সম্ভব, সেরকম পরিবারের সঙ্গেও সময় উপভোগ করা যায়। এছাড়াও, শুধু বসে না থেকে, রান্নাঘরের কাজ বা ঘর সাজানোর কাজে সাহায্য করতে পারেন। এই সামান্য সাহায্যে, আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি ভারসাম্য বজায় থাকবে।
কম খাবার- উৎসবের মরসুমে, বিভিন্ন ধরণের খাবার এবং মিষ্টি খাওয়া থেকে নিজেকে আটকানো খুব কঠিন, তবে তা সত্ত্বেও ভেবেচিন্তে এবং নিয়ন্ত্রণ করে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। একবারে অনেক খাওয়ার পরিবর্তে অল্প পরিমাণে খান। একসঙ্গে অনেক খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও, মিষ্টি এবং তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় শাকসবজি, প্রোটিন এবং গোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত করুন।
হাইড্রেটেড থাকুন- দীপাবলি শীতের আগমনের বার্তা দেয়। যার কারণে আবহাওয়া আরও ঠান্ডা হতে শুরু করে। শীতকালে জলের তৃষ্ণা অনেক কম হয়। তবে সর্বাধিক পরিমাণে জল পান করা এবং হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনার মিষ্টি খাওয়ার আগ্রহ কমবে। মিষ্টি না খেলে ওজন বাড়বে না।
যতটা সম্ভব হাঁটুন- উৎসবের কারণে যদি ব্যায়াম করতে না পারেন, তাহলে যতটা সম্ভব হাঁটা জরুরি। প্রতি ২ ঘণ্টায় ১৫ মিনিটের জন্য হাঁটুন। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। কাছাকাছি কোথাও যাওয়ার জন্য গাড়ির পরিবর্তে পায়ে হেঁটে যান।