সকলেই ফিট থাকতে চায়। সুস্থ শরীরের জন্য ওজন সঠিক রাখা প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষকে ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় পড়তে হয়। ওজন হঠাৎ অনেক বেড়ে গেলে, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়। এই ওজন হ্রাস অনেকের জন্য একটি খুব কঠিন যাত্রা। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন বজায় রাখা। এর মধ্যে সারা দিন কী ধরনের ডায়েট মেনে চলছেন, তা জানা জরুরি।
বর্তমান যুগে পরিবর্তনশীল জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে স্থূলতা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট সংক্রান্ত রোগ ইত্যাদি অনেক রোগের মূল কারণ হল স্থূলতা। ওজন একবার বেড়ে গেলে তা কমানো সহজ হয় না। কিন্তু আপনার জীবনধারা এবং খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে আপনি সহজেই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
খাদ্য ও জীবনযাত্রায় ছোট-বড় অবহেলার কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষের স্থূলতা। পেটের মেদ কমানো খুবই কঠিন কাজ। এটা কমাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আপনি একটি কঠোর জীবনধারা এবং একটি সুষম খাদ্য অনুসরণ করতে হবে। এর জন্য, কিছু ফ্যাট বার্নার পানীয়ও অবলম্বন করতে পারেন। জানুন কী কী খেলে ওজন কমানো সম্ভব দ্রুত ।
গ্রিন টি
গ্রিন টি পান করে জেদী পেটের চর্বি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এটি পান করলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। সেক্ষেত্রে বারবার খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। ফলে আপনার প্রতিদিনের ক্যালোরির পরিমাণ কমে যাবে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
দারুচিনি চা
দারুচিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। এটি ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমায়। পেটের মেদ বাড়ার পেছনে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সও একটি বড় কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আপনি দারুচিনি চা খেলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ওজন কমতে পারেন।
মধু
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে পশুদের মধু খাওয়া শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। মধু খেলে শরীরের শক্তির মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। এটি ঘন ঘন ক্ষিদের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। মধু দিয়ে তৈরি পানীয় খেলে পেটের চর্বি কমানো যায়।
আপেলের জ্যুস
আপেল ফাইবার সমৃদ্ধ। এই ফলের এর রস খেলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকার পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়ক। বারবার খেতে ইচ্ছে না করার কারণে আপনি সুষম খাবার খান। ফলে আপনার পেটের চর্বি বাড়তে না থেকে কমতে শুরু করে।