Ashadi Ekadashi 2025: একাদশীর উপোস ভাঙার পরে কী খাবেন? অনেকের মনেই এই প্রশ্ন থাকে। অনেক সময়ই দেখা যায়, উপোসের পরের দিন সকালের তাড়ায় অনেকেই শুধু চা-বিস্কুট খেয়ে অফিসে বেরিয়ে পড়েন। তারপর সোজা দুপুরে খান। কিন্তু এটি একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
যাঁরা একাদশীর উপোস করেন, তাঁদের পরদিন সকালে কী খাওয়া উচিত, সেই নিয়ে চিকিৎসকরা কী বলছেন জানুন। এই সময় শরীরকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক খাওয়ার রুটিনে ফিরিয়ে আনতে হয়।
কী খাবেন সকালে?
উপোসের পরদিন সকালে ফল বা ফলের রস খাওয়াই সবচেয়ে উপযুক্ত। বিশেষ করে কলা বা কমলালেবুর মতো সহজপাচ্য ফল খাওয়া যায়। এগুলি হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে দ্রুত শক্তি দেয়।
এই সময় রাতে জলে ভিজিয়ে রাখা কাজুবাদাম, বাদাম, কিসমিস ইত্যাদি ড্রাইফ্রুটসও খেতে পারেন। এগুলি শক্তি জোগায় এবং উপোসে ঘাটতি হওয়া পুষ্টির জোগান দেয়।
তাছাড়া বাটার, চাল, গম, জোয়ার ইত্যাদি শস্যজাত খাবারও এই সময় খাদ্যতালিকায় রাখলে উপকার হবে। তবে হালকা করে রান্না করা উচিত।
কী খাবেন না?
একাদশীর উপোসের পরের দিন ঝাল-মশলাদার বা ভাজাভুজি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে পেটে চাপ পড়ে এবং হজমের সমস্যা হতে পারে।
এই সময় হালকা খাবার খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। রবির উপমা, শিরা (সুজির হালুয়া), তালের ক্ষীর, স্যুপ, ভাত, জোয়ারের রুটি বা ডালিয়ার উপমা খেতে পারেন।
খাওয়ার সময় গুড় দিন, চিনি নয়
উপোস ভাঙার সময় গৃহে সাধারণত মিষ্টি খাবার বানানোর রীতি রয়েছে। বিশেষত চালের ক্ষীর, শবেবরাতের মতো সেমাই বা শিরা অনেকেই খেয়ে থাকেন। এই সমস্ত খাবারে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট প্রচুর পরিমাণে থাকে। এগুলি শরীরে শক্তি ফেরাতে সাহায্য করে।
তবে এই সময় খির বা শিরা তৈরি করলে চিনি কম ব্যবহার করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করাই স্বাস্থ্যকর। গুড় প্রাকৃতিক উপাদান, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
মনে রাখবেন
একাদশীর উপোসের পরদিন খাওয়া-দাওয়া কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর পেটকে ধীরে ধীরে খাবার গ্রহণে অভ্যস্ত করাতে হয়। তাই ফল, ড্রাইফ্রুটস, হালকা খাবার আর সামান্য গুড় মিশ্রিত মিষ্টি খেয়ে ধীরে ধীরে শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনুন।