Red Rice vs Brown Rice: লাল না বাদামি, কোন ভাতে ঝটপট ওজন কমবে? মনের সুখে খেলেও ক্ষতি নেই

Red Rice vs Brown Rice: আজকের যুগে যখন মানুষ দ্রুত স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকছে, তখন সাদা ভাতের পরিবর্তে লাল ভাত এবং ব্রাইন রাইসের মতো বিকল্পগুলি উঠে এসেছে। উভয় ভাতই দেখতে আলাদা এবং পুষ্টিতেও অনেক পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে যে এর মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? আসুন জেনে নেওয়া যাক তাদের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে।

Advertisement
লাল না বাদামি, কোন ভাতে ঝটপট ওজন কমবে? মনের সুখে খেলেও ক্ষতি নেই ওজন কমাতে কোন রঙের চাল বেশি উপকারী

Red Rice vs Brown Rice: আজকের যুগে যখন মানুষ দ্রুত স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকছে, তখন সাদা ভাতের পরিবর্তে লাল ভাত এবং ব্রাইন রাইসের মতো বিকল্পগুলি উঠে এসেছে। উভয় ভাতই দেখতে আলাদা এবং পুষ্টিতেও অনেক পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে যে এর মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? আসুন জেনে নেওয়া যাক তাদের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে।

ব্রাউন রাইসের বিশেষত্ব কী?
সাদা চালের তুলনায় বাদামী চাল কম প্রক্রিয়াজাত করা হয়। চালের বাইরের স্তর অর্থাৎ ভুসি এবং জীবাণু এতে থাকে, যা ফাইবার এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।

ব্রাউন রাইসের উপকারিতা
১. উচ্চ ফাইবারের কারণে হজমে সহায়ক
২. রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
৩. ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের ভালো উৎস
৪. ওজন কমাতে সহায়ক

ব্রাউন রাইসের অসুবিধা
১. এতে প্রাকৃতিক ফাইটিক অ্যাসিড থাকে, যা কিছু খনিজ পদার্থের শোষণে বাধা দিতে পারে।
২. এটি সবার হজমের জন্য উপযুক্ত নয়।
৩. এটি রান্না করতে বেশি সময় লাগে, যা বেশি জ্বালানি খরচ করে।

লাল চালের বিশেষত্ব কী?
রেড রাইসে  অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি প্রাকৃতিক লাল রঙের উপাদান থাকে, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাত চালের শ্রেণিতেও পড়ে।

লাল ভাতের উপকারিতা
১. অ্যান্থোসায়ানিনের উপস্থিতির কারণে প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য
২. হৃদরোগের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
৩. ফাইবার সমৃদ্ধ
৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

রেড রাইসের অসুবিধা
১. বেশি পরিমাণে এটি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
২. বাজারে আসল লাল চাল খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন হতে পারে।
৩. এতে ফাইটিক অ্যাসিডও পাওয়া যায়।

কোনটা ভালো?
যদি আপনি ওজন কমাতে চান, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান অথবা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে চান, তাহলে দুটি বিকল্পই ভালো। তবে, অ্যান্থোসায়ানিনের কারণে লাল চালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য বেশি থাকে, অন্যদিকে বাদামি চাল সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী।

লাল এবং বাদামি চাল উভয়ই স্বাস্থ্যকর বিকল্প, তবে নির্বাচন আপনার স্বাস্থ্যের চাহিদার উপর নির্ভর করে। যদি আপনি হৃদরোগ এড়াতে চান, তাহলে লাল চাল ভালো, অন্যদিকে বাদামি চাল হজম এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত। সুষম উপায়ে গ্রহণ করা আপনার  সুস্থ জীবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ হবে।

Advertisement

Disclaimer:এই খবরটি শুধুমাত্র আপনাকে সচেতন করার জন্য লেখা হয়েছে। এটি লেখার সময় আমরা ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের সাহায্য নিয়েছি। যদি আপনি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু পড়েন, তাহলে অবশ্যই এটি গ্রহণ করার আগে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

POST A COMMENT
Advertisement