বিষ বাতাসে বারোটা বাজছে ত্বকের, কীভাবে রক্ষা পাবেন? জেনে নিনSkin Care Tips: দামী স্কিনকেয়ার ক্রিম ব্যবহার করেও ব্রণ, একজিমা বা অকাল বার্ধক্যের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলছে না, এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দীক্ষা কাটিয়ার জানাচ্ছেন, এর মূল কারণ বাহ্যিক প্রসাধনীর উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা। ত্বকের সুস্থতায় দৈনন্দিন অভ্যাস ও শরীরের ভেতরের ভারসাম্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
শহুরে জীবনে এই সমস্যা আরও প্রকট। বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী, শহরের প্রায় ৫৫ শতাংশ মানুষ কোনও না কোনও দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন। অথচ এই সমস্যার সমাধানে অনেক ক্ষেত্রেই ফ্রি বা খুব সাধারণ জীবনযাপনের পরিবর্তনই যথেষ্ট বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ত্বকের ‘স্কিন ব্যারিয়ার’ মজবুত করা জরুরি
ত্বকের প্রথম প্রতিরক্ষাকবচ হল স্কিন ব্যারিয়ার। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ধুলো-ময়লা বা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এই স্তর দুর্বল হলে ত্বক শুষ্ক, সংবেদনশীল ও প্রদাহপ্রবণ হয়ে ওঠে। প্রতিদিন মাইল্ড ফেসওয়াশ ও হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাভাবিক তেলের ভারসাম্য বজায় থাকে। অতিরিক্ত স্ক্রাব বা কেমিক্যাল এড়িয়ে চলাই ভালো।
প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার আবশ্যক
অনেকেই মনে করেন রোদে না বেরোলে সানস্ক্রিনের দরকার নেই। কিন্তু বাস্তবে জানালার কাচ ভেদ করেও UVA ও UVB রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। এর ফলে দাগ, বলিরেখা ও ত্বকের রঙের পরিবর্তন হয়। প্রতিদিন ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে এই সমস্যাগুলি অনেকটাই কমে।
ভেতর থেকে ত্বক সারায় সঠিক খাবার
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভালো ফ্যাট, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর খাবার ত্বককে ভেতর থেকে মেরামত করে। অন্যদিকে অতিরিক্ত চিনি ও প্রসেসড খাবার ত্বকে প্রদাহ বাড়ায়, ব্রণও বাড়ে। সুষম খাদ্যাভ্যাসে ত্বক হয় আরও উজ্জ্বল ও মজবুত।
স্ট্রেস ও ঘুমের প্রভাব
অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসল হরমোন বাড়িয়ে দেয়, যা ত্বকে তেল নিঃসরণ বাড়ায় এবং ক্ষত সারতে দেরি করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের ঘুম ঠিক নেই তাঁদের ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও বেশি। নিয়মিত ঘুম, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ও মানসিক বিশ্রাম ত্বকের জন্য ভীষণ জরুরি।
স্কিনকেয়ার রুটিন সহজ রাখুন
অনেক প্রোডাক্ট একসঙ্গে ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন। এই তিনটিই অধিকাংশ মানুষের জন্য যথেষ্ট। কম প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে ত্বক নিজে থেকেই সেরে ওঠার সুযোগ পায়।