Women Facial Hair Causes: মেয়েদের দাড়ি-গোঁফ গজায় কেন? সমাধান কী? WHO-র ডাক্তার যা জানালেন

ত্বকের সমস্যা এখান হামেশাই দেখা যায়। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষেরাও একাধিক স্কিন প্রবলেমে ভোগেন। তবে মুশকিল হল, বর্তমানে মহিলাদের মধ্যে একটা সমস্যা খুব বেড়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের মুখেই দাড়ি, গোঁফের রেখা দেখা দিচ্ছে। যার ফলে বাড়ছে উৎকণ্ঠা। তারা জানতে চাইছেন কেন এমনটা হয়? আর এর পিছনে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে বদলে যাওয়া জীবনযাত্রা এবং বাড়তি ফাস্ট ফুড খাওয়ার মতো সমস্যা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement
মেয়েদের দাড়ি-গোঁফ গজায় কেন? সমাধান কী? WHO-র ডাক্তার যা জানালেনমহিলাদের মুখে দাড়ি, গোঁফ
হাইলাইটস
  • ত্বকের সমস্যা এখান হামেশাই দেখা যায়
  • অনেকের মুখেই দাড়ি, গোঁফের রেখা দেখা দিচ্ছে
  • তারা জানতে চাইছেন কেন এমনটা হয়?

ত্বকের সমস্যা এখান হামেশাই দেখা যায়। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষেরাও একাধিক স্কিন প্রবলেমে ভোগেন। তবে মুশকিল হল, বর্তমানে মহিলাদের মধ্যে একটা সমস্যা খুব বেড়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের মুখেই দাড়ি, গোঁফের রেখা দেখা দিচ্ছে। যার ফলে বাড়ছে উৎকণ্ঠা। তারা জানতে চাইছেন কেন এমনটা হয়? আর এর পিছনে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে বদলে যাওয়া জীবনযাত্রা এবং বাড়তি ফাস্ট ফুড খাওয়ার মতো সমস্যা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ফাস্ট ফুড এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

রাশিয়ার ওয়েবসাইট ইজভেস্টিয়া জানাচ্ছে, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং মিষ্টিতে নুন, চিনি এবং ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে। যার ফলে শরীরে বাড়ে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। এই কারণে হরমোনাল ব্যালেন্স বিগড়ে যায়। শুধু তাই নয়, নারী শরীরে পুরুষ হরমোন বৃদ্ধি পায়। আর সেই কারণেই মহিলাদের মুখে দাড়ি, গোঁফের রেখা দেখা যায়। এই সমস্যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় হিরসুটিজম বলে ডাকা হয়।

কখন এই সমস্যা বাড়াবাড়ি দিকে যেতে পারে?

এই রিপোর্ট অনুযায়ী, পিরিয়ড শুরু হওয়ার সময় মহিলাদের শরীর হরমোনাল চেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যায়। এই সময় ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড এবং ফ্রায়েড ফুড খেলে মুখে লোম গজানোর আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, ওজন বেশি থাকা, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসও হিরসুটিজমের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে।

তবে মাথায় রাখতে হবে, মুখে দাড়ি, গোঁফ গজালেই শেভ করা যাবে না। তাতে সমস্যা হতে পারে। তার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অন্য একটা কারণও রয়েছে

এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ এক্সপার্ট এবং সিনার্জি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট গাইনিকোলজিস্ট লায়ুবভ ইয়েরোফেইভা বলেন, 'মহিলারা ওজন বাড়ালেই তাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন বৃদ্ধি পায়।' আবার হাইপোথ্যালামিক পিটুইটারি অ্যাড্রিনালিন সিস্টেম ঠিক ঠাক কাজ না করলেও দেহে টেস্টোস্টেরন লেভেল বাড়ে। যার ফলে মুখে লোম গজাতে শুরু করে।

Advertisement

চিকিৎসা কী?

হরমোনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনাই প্রধান লক্ষ্য। পাশাপাশি ডায়েট এবং জীবনযাত্রায় বদলও করতে হবে। ওজন কমাতে হবে। পাশাপাশি চিকিৎসক কোনও ওষুধ দিলে খান। তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

POST A COMMENT
Advertisement