Sleepy After Eating Rice: কেন দুপুরে ভাত খেলে ঘুম পায়? জানালেন নামী ডায়েটিশিয়ানরা

কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। আর এই প্রবাদটা একবারেই সত্যি। তাই তো দুপুরে ভাত খাওয়া বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। এমনকী অনেকে অফিসেও ভাত নিয়ে যান। সেই খাবার খেয়েই তাদের মানসিক শান্তি। তবে মুশকিল হল, দুপুরে ভাত খাওয়ার পরই অনেকের ঘুম ঘুম পায়। কাজে মন বসে না। কিন্তু কেন এমনটা হয়? আর এই বিষয়টা সম্পর্কে জানতেই আমরা যোগাযোগ করেছিলাম কলকাতা শহরের একাধিক বিশিষ্ট পুষ্টিবিদের সঙ্গে।

Advertisement
কেন দুপুরে ভাত খেলে ঘুম পায়? জানালেন নামী ডায়েটিশিয়ানরাভাত খাওয়ার সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক কী?
হাইলাইটস
  • দুপুরে ভাত খাওয়ার পরই অনেকের ঘুম ঘুম পায়

কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। আর এই প্রবাদটা একবারেই সত্যি। তাই তো দুপুরে ভাত খাওয়া বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। এমনকী অনেকে অফিসেও ভাত নিয়ে যান। সেই খাবার খেয়েই তাদের মানসিক শান্তি। তবে মুশকিল হল, দুপুরে ভাত খাওয়ার পরই অনেকের ঘুম ঘুম পায়। কাজে মন বসে না। কিন্তু কেন এমনটা হয়? আর এই বিষয়টা সম্পর্কে জানতেই আমরা যোগাযোগ করেছিলাম কলকাতা শহরের একাধিক বিশিষ্ট পুষ্টিবিদের সঙ্গে।

এই বিষয়টি সম্পর্কে সল্টলেকের মণিপাল হাসপাতালের হেড ডায়েটিশিয়ান ইন্দ্রাণী ঘোষ বলেন, 'ভাত খেলে শরীরে দেহে কার্বোহাইড্রেট প্রবেশ করে। যার ফলে ঘুমে সহায়ক একাধিক হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। তার ফলেই ঘুম পায়।'

এই প্রসঙ্গে একই মত কলকাতার ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের প্রধান পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদারেরও। তিনিও জানান, ভাত হল কার্বোহাইড্রেট। আর একসঙ্গে অনেকটা ভাত খাওয়ার কারণে শরীরে বেশ কিছু হরমোনের গতিবিধি বাড়ে। যার ফলে ঘুম পায়।

এখন প্রশ্ন হল, এর পিছনে থাকা বিজ্ঞানটি কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক-

আসলে ভাত খাওয়ার পর আপনার শরীর কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজ হিসাবে ভেঙে ফেলে। যার ফলে সুগার বৃদ্ধি পায়। এই সুগারকে সামলাতে আবার ইনসুলিন বের করে শরীর। আর এই হরমোন ট্রিপটোফ্যান নামক একটি অ্যামাইনো অ্যাসিডকে ব্রেনে সহজে গ্রহণ করতে সাহায্য করে। আর এই ট্রোপটোফ্যান ব্রেনের ভিতরে সেরোটোনিন নামক একটি নিউরোট্রান্সমিটার হিসাবে কাজ করে। যা কিনা রিল্যাক্সেশনে করে সাহায্য। শুধু তাই নয়, এটা মেলাটোনিন তৈরিও করে। সেটা আবার ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে। এটাই হল দুপুরে ভাত খেয়ে ঘুম পাওয়ার পিছনে থাকা সহজ বিজ্ঞান।

তাহলে কী করতে পারেন?

এই সমস্যা সমাধানে ভাত খাওয়া কমাতে পারেন। দুপুরে কম ভাত খেলেই ঘুম পাবে কম। এছাড়া ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

এছাড়া যদি ভাত খেয়েও ফেলেন, তাহলে কিছুটা সময় হেঁটে নিন। মিনিট দশেক হাঁটলেই কমে যাবে সুগার লেভেল। যার ফলে ঘুম পাওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

পরিশেষে বলি, দিনের সবসময় ঘুম পাওয়া কোনও সাধারণ বিষয় নয়। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের নিন দায়িত্ব। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে।

বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

POST A COMMENT
Advertisement